কমলগঞ্জের ত্রীপুরা সীমান্তে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ত্রীপুরা সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের নোওয়াগাঁও এলাকা থেকে নিখোঁজ বাংলাদেশি নুরুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে মুসলিম মণিপুরী সম্প্রদায়ের নোওয়াগাঁও গ্রামের জোয়াদ আলীর বড় ছেলে। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। নিখোঁজের ছয় দিনের মাথায় রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তের ৯৪/২৪ সীমান্ত খুঁটির নোম্যান্সল্যান্ড এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়ায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় মানসিক প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলাম বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন। রোববার বিকালে ভারতের ত্রিপুরার কমলপুর এলাকার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা পাহাড়ি ছড়ায় তার মরদেহ দেখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের খবর দেন। বিজিবি সদস্যদের মাধ্যমে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ রোববার সন্ধ্যার পর মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে। তবে গভীর বনে মরদেহটি পড়ে থাকায় রাতে আর সেটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সোমবার সকালে মরদেহটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল যায়। নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের পর বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজ করা হয়। তবে ভাইকে পাওয়া যায়নি। রোববার বিকালে ইসলামপুর ইউনিয়নের চাম্পারায় চা বাগানের তৈলংবাড়ি এলাকার গভীর বনে নোম্যান্সল্যান্ডের ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন পাহাড়ি ছড়ায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর পর বিএসএফ কুরমা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের খবর দেয়। বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ছবি ধারণ করে এনে পরিবার সদস্যদের দেখালে তারা তাকে শনাক্ত করেন। কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র নাশ বলেন, বিজিবির মাধ্যমে খবর পেয়েছি। মরদেহ গভীর বন এলাকায় থাকায় রাতে সেখানে গিয়ে উদ্ধার সম্ভব হয়নি। তাই সোমবার সকালে মরদেহ উদ্ধারে পুলিশের একটি দল সেখানে যাচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।