যেসব লক্ষণে বুঝবেন নিউমোনিয়া, বাঁচতে কী করবেন?

অতিরিক্ত জ্বর-কাশি, বুকে সংক্রমণ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এসব লক্ষণ স্থায়ী হতে থাকলে বুঝতে হবে ব্যাকটেরিয়ায় ফুসফুসে প্রদাহ তৈরির সঙ্গে শরীরে পানি জমিয়ে ফেলতে পারে। এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে। ভারতের বিখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম বরাট জানান, শীত পড়তে শুরু করলেই নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। গভীরভাবে শ্বাস নেয়ার সময় বুকে ব্যথা হয়। এ সময় দ্রুত চিকিৎসা রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারে। নিউমোনিয়া কি ছোঁয়াচে? চিকিৎসকের মতে, নিউমোনিয়ায় ছোঁয়াচে নয়। তবে রোগী কাশি বা হাঁচি থেকে এই রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। একে ‘ড্রপলেট ইনফেকশন’ বলা হয়। নিউমোনিয়ার টিকা গৌতম বরাটের পরামর্শ, শিশুদের বেলায় আগাম রোগ প্রতিরোধের উদ্দেশে নিউমোনিয়ার টিকা দেয়া হয়। নিউমোনিয়ার টিকা সাধারণত দুপ্রকারের হয়। বছরে একবার নেয়া যেতে পারে। তবে সব টিকা নেয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিউমোনিয়া লক্ষণ ১. এই অসুখের মূল লক্ষণ প্রচণ্ড জ্বর। জ্বর কখনও একটু কমলেও ফের তীব্র ভাবে ফিরে আসে। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও শ্বাস নিতে বুকে ব্যথা। ২. ঠান্ডা থেকে হয় বলে মাথা য়ন্ত্রণা, কাশিও হয়ে থাকে। ৩. শরীর খুব দুর্বল থাকা, বমি ভাব ও খাওয়ায় অনীহাও থাকতে পারে। রোগ নির্ণয় কীভাবে? এই রোগ নির্ণয়ের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। নিউমোনিয়া নিশ্চিত হতে প্রয়োজনীয় কয়েকটা পরীক্ষা করাতে হবে। অনেক সময় এক্স-রে, সিটি স্ক্যানও করা হয়। রোগ প্রতিরোধে কী করবেন? ১. ধূমপান থেকে অবশ্যই দূরে রাখতে হবে রোগীকে। এমনকি কোনোভাবে প্যাসিভ স্মোকিংও করা চলবে না। ২. ফুসফুসের কোনো রোগ থাকলে এর পাশাপাশি সে চিকিৎসাও করতে হবে। ৩. ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে বা লিভারের কোনো অসুখ থাকলে চিকিৎসকের কাছে তা আড়াল করবেন না। ৪. ধুপকাঠির ধোঁয়া, ধুনো, মশা মারার কয়েল রোগীর ঘর থেকে দূরে রাখতে হবে। ৫. কোনো ভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। ৬. অ্যাজমা থাকলে ইনহেলার রাখতে হবে কাছে।