শুক্রবার চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে লোকসংস্কৃতি উৎসব

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে আগামী শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী লোকসংস্কৃতি উৎসব। চট্টগ্রামের গবেষণাধর্মী সংগঠন সমাজ সমীক্ষা সংঘের আয়োজনে এ লোকসংস্কৃতি উৎসবে থাকছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান হঁলা, বান্দা, ভাইট্টালি, হাইল্ল্যাগীতি, মুরারকূইল্যা, হালদা ফাডা ছাড়াও পল্লীগীতি, হাসনরাজা, মারফতি ও ভাওয়াইয়া গানের আসর। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান লোকসংস্কৃতি উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে শুরু হচ্ছে দুইদিনের এ উৎসব। উৎসবের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। বিকেল ৫টায় শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের প্রথম দিন প্রমা অবন্তীর পরিচালনায় লোকনৃত্য পরিবেশন করবেন ওডিসি অ্যান্ড টেগর ড্যান্স মুভমেন্টের শিল্পীরা। এরপর থাকছে জয় সেন হিরো ও ববি মনির পরিবেশনায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান। এছাড়া সৈয়দ মানিকের মাইজভান্ডারি গান, কুষ্টিয়ার আরশিনগর সংগীত একাডেমির বাউল গানও পরিবেশিত হবে। উৎসবের প্রথম দিন উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজউদ্দিন আহমেদকে। এদিকে উৎসবের প্রথম দিন সকাল ৯টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে শিশুদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রণব মিত্র চৌধুরী। দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৩টায়। উখিয়া সাহিত্য কুঠিরের পরিবেশনার এদিন থাকছে হঁলা, বান্দা, ভাইট্টালি, হাইল্ল্যাগীতি, মুরারকূইল্যা, হালদা ফাডা গান। দ্বিতীয় দিন বিকেল সোয়া ৪টায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এরপর সুনামগঞ্জের শিল্পী দেবদাস চৌধুরী ও তুলিকা ঘোষ চৌধুরী পরিবেশন করবেন হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম ও রাধারমণের গান। নান্টু দেবনাথ ও প্রিয়া ভৌমিকের থাকছে পল্লীগীতি। পরে আদিবাসী নৃত্য পরিবেশনায় থাকছে কক্সবাজারের আরিয়ান রাখাইন শিল্পী গোষ্ঠী। সঙ্গীত দল মাটির গানের পরিবেশনায় থাকছে ভাদু, টুসু, ঝুমুর, নাচনী, লেটো, চটকা, আলকাপ, ফকিরি, মারফতি ও ভাওয়াইয়া গান। উৎসবের দ্বিতীয় দিন উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত শিল্পী সুবীর নন্দীকে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন লোকসংস্কৃতি উৎসব কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ মিনহাজ, নির্বাহী পরিচালক শিহাব চৌধুরী বিপ্লব, কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, পরিচালক আমিনুল ইসলাম, জয়নাল আবেদিন রানা ও তাপস রায়।