করোনা যোদ্ধাদের সাকিবের স্যালুট

স্পোর্টস ডেস্ক:করোনার প্রকোপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, আদালতসহ বন্ধ করা হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সবাইকে বাসায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সশস্ত্র বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অনেকেই কাজ করে চলেছে নিরলসভাবে। দেশের কল্যাণে নিঃস্বার্থ এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের স্যালুট দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। একদিন আগেই ছিল নিজের ৩৩তম জন্মদিন। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে রয়েছেন স্বেচ্ছ্বায় গৃহবন্দী। এমন অবস্থাই পালন করতে হয়েছে জন্মদিন। এমন কঠিন মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়তই ভক্তদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তারকা খেলোয়াড়রা। এর থেকে দূরে নন সাকিব আল হাসানও। ভিডিও বার্তায় কয়েকদিন আগে সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেছেন তিনি। এবার ফেসবুক বার্তায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা চিকিৎসক, নার্স ও সেনাবাহিনীকে স্যালুট জানিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার লিখেছেন, ‘সকল দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে যারা মারাত্মক এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন প্রতিনিয়ত তাদেরকে জানাই আমার সালাম। ধন্যবাদ জানাই প্রতিটি ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং সরকারী কর্মকর্তাদের যারা নিঃস্বার্থ ও অক্লান্তভাবে লড়াই করে চলেছেন। আমরা তাদের সাহায্য করতে যা পারি তা হলো- বাসায় অবস্থান করা, প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ মেনে চলে এই কঠিন সময়ে তাদের সহায়তা করা। তবেই আমরা একসাথে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারব। আল্লাহ আমাদের সকলকে সাহায্য করুন।’ এর আগে কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করেছেন সাকিব, ‘যদি কেউ বিদেশ থেকে ফিরে থাকেন, তাহলে অবশ্যই নিজেকে ঘরে রাখতে হবে। আত্মীয়স্বজন ও বাইরের মানুষ যেন আপনার সঙ্গে এসে দেখা করতে না পারে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, যা খুবই জরুরি। যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের সবারই ছুটি কম থাকে। তারা চান আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে, ঘোরাফেরা করতে, আড্ডা দিতে কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে একত্রিত হতে। যেহেতু সময় আমাদের অনুকূলে নয়, আমি সবাইকে অনুরোধ করব নিয়মগুলো মেনে চলতে। সামান্য এই ত্যাগ পারে আমাদের পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখতে, সুস্থ রাখতে, নিজেদেরও সুস্থ রাখতে। আশা করি, সবাই কথাগুলো শুনবেন এবং মেনে চলার চেষ্টা করবেন।’ সাকিব আরো বলেন, ‘সতর্কতাই পারে আমাদের সুস্থ রাখতে, দেশকে সুস্থ রাখতে। কিছু সাধারণ পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে আমাদের। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় শিষ্টাচার মেনে চলা, এসব। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব দিকনির্দেশনা দিয়েছে, এগুলো জেনে মেনে চলার চেষ্টা করবেন।’ সেইসঙ্গে খাবার মজুদ না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন দেশের সবচেয়ে বড় তারকা। তিনি বলেন, ‘আমি খবরে দেখেছি, অনেকে তিন-চার বা ছয় মাস পর্যন্ত খাবার সংগ্রহ করছেন। আমার ধারণা, খাবারের ঘাটতি আমাদের কখনোই হবে না, ইনশাআল্লাহ। আমরা কেউই না খেয়ে মারা যাব না। সবাই ভালো থাকবেন, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হবেন না।’