তাহিরপুরের পল্লীতে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪

তাহিরপুর প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পল্লীতে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হানিফ শিকদার (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন আরো ৪ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ইছবপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী জলার হাওরে। নিহত ব্যক্তি ইছবপুর গ্রামের মৃত নেকবর ওরফে লেম্বু শিকদারের ছেলে হানিফ শিকদার (৩০)। আহতরা হলেন- নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম সিকদার (৫০), তার ছোট ভাই কবির শিকদার (২৫)। অপর পক্ষের একই গ্রামের লায়েছ শিকদারের ছেলে হাবিবুর শিকদার (৪০) ও তার ছেলে তানভীর সিকদার (১০)। সরেজমিনে গিয়ে গ্রামবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাড়ির পিছনের জলার হাওর থেকে গরু নিয়ে বাড়ী আসার সময় ক্ষেতের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে লেম্বু শিকদারের ছেলে কালাম সিকদারের পথরোধ করে গালিগালাজ শুরু করে ইছবপুর গ্রামের লায়েছ শিকদারের ছেলে মনির শিকদার (২৮) ও হাবিবুর শিকদারের ছেলে রাজু শিকদার (২০)। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে লায়েছ শিকদারের ছেলে মনিরের বড় ভাই হাবিবুরে ও কয়েকজন সহযোগী মিলে কালামের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা করে। এ সময় কালামের ছোট ভাই নিহত হানিফ ও কবির তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে রাতে বাদাঘাট বাজারের স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। রাত ১০ টায় হানিফের অবস্থার অবনতি হলে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর জন্য বলা হয়। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালেই হানিফ মারা যান। হানিফের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে হাবিবুরসহ তার আত্মীয় স্বজনরা পলাতক রয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই অঞ্জন সরকার সদর হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেন। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।