এ সংকটে সীমিত আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ান: বিত্তবানদের প্রতি ওবায়দুল কাদের

নন্দিত ডেস্ক:করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই সংকটকালে দেশের ধনী ও বিত্তবানদের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা হুমকির পাশাপাশি দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অনেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ-পরবর্তী অর্থনৈতিক বৈশ্বিক মহামন্দার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে দরিদ্র্য জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনটি শুধু বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। পরে লিখিত বক্তব্য গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবসভ্যতা আজ এক সংকটের মুখোমুখি। সারাবিশ্ব প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত। প্রতিদিন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। পরম করুণাময়ের অসীম কৃপায় বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিবিড়ভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন এবং সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। জনগণকে রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছেন। মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র থেকেও সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও চীন বাংলাদেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সামগ্রী বিশেষ বিমানযোগে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। কয়েকদিনের মধ্যে চীন থেকে আরও চিকিৎসা সামগ্রী বাংলাদেশে পৌঁছবে। আমরা চিকিৎসক-নার্স ও জনগণ সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছে। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। ধৈর্য, দায়িত্বশীলতা ও দেশপ্রেম নিয়ে একযোগে আপনাদের সবাইকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। ঘরে ঘরে সচেতনতা ও সতর্কতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ মারাত্মক ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে সারাবিশ্বে কোটি কোটি মানুষ গৃহবন্দি রয়েছে। বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ধনী-গরিব, উন্নত-উন্নয়নশীল সব জাতিরাষ্ট্র পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য একে অপরের সাহায্য সহযোগিতা গ্রহণ করছে। দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী, বিশেষ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারের কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি জনগণের প্রতি আহ্বান রাখছি- আপনারা কোনো প্রকার গুজবে কান দেবেন না। সঠিক তথ্যের জন্য প্রচলিত গণমাধ্যম তথা টেলিভিশন-রেডিও-সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রচারিত সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রয়োজনে সরকার নির্দেশিত হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন। মতলববাজ, গুজব সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে অবহিত করুন। এই ধরনের গুজব শুধু আমাদের সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।