কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাউন্ডারি দেয়ালের কাঁটাতারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লাকি আক্তার (১২) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার কাঠাল বাড়ি গ্রামের হতদরিদ্র নবী হোসেনের মেয়ে। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুকনো লাকড়ি সংগ্রহ করতে আসে লাকি আক্তার ও তার মা। একপর্যায়ে বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন একটি গাছের শুকনো ডাল ভাঙতে দেয়ালের উপরে উঠে ওই কিশোরী। এ সময় অসাবধানতাবশত বৈদ্যুতিক তাঁরে জড়িয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয় সে। এসময় তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাৎক্ষণিক লাকি আক্তারকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর পাশের বাউন্ডারি দেয়ালের উপর কাঁটাতারের র্যালিং দেয়া। সেই র্যালিংয়ের সাথে একটি ইনসুলেটর দিয়ে ১১শ ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তাঁর আটকিয়ে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন এভাবেই তাঁরটি বিপজ্জনকভাবে কাঁটাতারের সাথে আটকানো রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সিরাজুল ইসলাম ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুম আহমদ এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। কেউ নাকি এই বিষয়ে কিছুই বলে তাদের। কিন্তু ১১শ ভোল্টেজের তাঁর ইনসুলেটর দিয়ে লাগাতে হলে পল্লী বিদ্যুতের টেকনিশিয়ান ছাড়া কেউ লাগাতে পারবে না। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুম আহমদ বলেন, এই তাঁরের বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। আমি গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে এখানে এসেছি। এই ৩ মাসের ভেতরে কেউ আমাকে কখনো বলেও নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই তার উপরে তোলার ব্যবস্থা করা হবে। কোম্পানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম না যে এখানে এই তার এভাবে রেলিংয়ের সাথে আটকানো আছে। কর্তৃপক্ষও আমাদেরকে কিছু জানায়নি। এই তাঁর এখানে কিভাবে ইনসুলেটর দিয়ে লাগানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি দায় এড়িয়ে যান। বলেন মেডিকেলে কাজ চলছে হয়তো ঠিকাদার আটকে রাখতে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন আচার্য বলেন, বাউন্ডারি দেয়ালের রেলিংয়ের সাথে বৈদ্যুতিক তার আটকানো ঠিক হয়নি। আমি ডিজিএম সাহেবকে খুব শীঘ্রই এই তার উপরে তোলার জন্য বলেছি।
মন্তব্য