করোনা মোকাবেলায় খাতওয়ারি গুচ্ছ প্রস্তাব দেবে বিএনপি

নন্দিত ডেস্ক:করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় দেশের সম্ভাব্য প্রতিকূল অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় খাতওয়ারি একগুচ্ছ প্রস্তাব দেবে বিএনপি। গার্মেন্ট, ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি খাত রক্ষায় এসব প্রস্তাব দেয়া হবে। সেখানে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার জন্য সরকারকে গাইডলাইনও দেবে দলটি। আজ বেলা ১১টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবনা তুলে ধরা হবে। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে করোনার কারণে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি কী এবং তা মোকাবেলায় করণীয় কী-এসব তুলে ধরা হবে। সরকারকে একটি গাইডলাইন দেবে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমরা সরকারকে অনেকগুলো প্রস্তাবনা দেব। কীভাবে এই ভাইরাস থেকে জনগণ ও দেশের অর্থনীতিকে সুরক্ষা দেয়া যায়, তার জন্য দীর্ঘ, স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য যুগান্তরকে বলেন, সংবাদ সম্মেলনে কিছু প্রস্তাবনার পাশাপাশি করোনা ইস্যুতে বিএনপিকে নিয়ে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর নেতিবাচক মন্তব্যেরও জবাব দেয়া হবে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের এই মহামারীতে শুরু থেকেই সারা দেশে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ২৫ মার্চের পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে নেতাকর্মীরা গরিব ও দুস্থ মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে রাজধানীসহ সারা দেশে। এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণেও বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসন বাধা দিচ্ছে। দলের এসব কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। স্কাইপে সবাই একসঙ্গে যুক্ত হন। ভিডিও কনফারেন্সে নেতারা করোনায় করণীয় নিয়ে তাদের মতামত দেন। এ সময় দল থেকে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের খসড়া তৈরি করতে দলের একজন ব্যবসায়ী নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে বুধবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির আরেক বৈঠকে লিখিত বক্তব্যের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। যা আজ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় ‘জাতীয় কমিটি গঠন’ বা ‘জাতীয় ঐক্যের’ জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানানো হবে। করোনা মোকাবেলায় সরকার কোনো সহযোগিতা চাইলে বিএনপি তা করবে। এ ছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই, মাস্ক এন-৯৫) চিকিৎসকদের জন্য নিশ্চিত করা ও হাসপাতালগুলোর বর্তমান চিকিৎসাসেবা নিয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরার বাসায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় জাতীয় কমিটি গঠন করা উচিত। এ উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে। জাতীয় কমিটি গঠন হবে রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে। তাদেরকে নিয়ে একসঙ্গে বসে মিটিং করতে হবে, তা বলছি না।