ফতুল্লায় করোনায় হোসিয়ারি ব্যবসায়ীর মৃত্যু, এলাকা লকডাউন

নন্দিত ডেস্ক:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় করােনা আক্রান্ত হয়ে আবু সাইদ মাতবর (৫৫) নামে এক হোসিয়ারি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে এ ভাইরাসে ২ জনের মৃত্যু হলো। শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু সাইদ মাতবর মারা যান। তিনি ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুচিন্তানগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার আম্মাজান মঞ্জিলের মৃত আলী হোসেন চেয়ারম্যানের ছেলে। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। আবু সাঈদের ছেল ৭১-এর চেতনা মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রবিন জানান, গত দুই দিন ধরে তার বাবার শ্বাসকষ্ট ও কাশি ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার সকাল তিনি ৯টায় মারা যান৷ পরে আইইডিসিআর থেকে লােকজন এসে পরীক্ষা করে করােনার কথা জানান৷ লাশ আইইডিসিআরের লােকজনের তত্ত্বাবধানে ঢাকার খিলগাওয়ে দাফন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক যুগান্তরকে জানান, খবর পেয়ে আবু সাঈদ মাতবরের বাড়িতে গিয়েছি। পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি আবু সাইদ হোসিয়ারি ব্যবসা করতেন এবং নিয়মিত নামাজ পড়তেন। তিনি ও তার কোন আত্মীয়-স্বজন বিদেশে থাকেন না। যেকোন স্থান থেকে সংস্পর্শে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আবু সাইদ। এ বিষয়টি খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করছি। এরমধ্যে ওই এলাকার উত্তরে মাদ্রাসার শেষ মাথায় হেয়ায়েতুল্লাহ খোকনের বাড়ি থেকে দক্ষিণে বাংলাবাজার ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত এবং পূর্বে হাসেনবাগ লেন মোড় থেকে পশ্চিমে প্রধান বাড়ির সড়ক পর্যন্ত লকডাউন করেছি। জেলা করােনা বিষয়ক ফোকাল পারসন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরাও ডেথ সার্টিফিকেটের একটা কপি পেয়েছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারবাে। উল্লেখ্য এর আগে গত ৩০ মার্চ করােনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রসুলবাগের পুতুল (৫০) নামে এক নারী। এরপর গত ২ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষায় করােনা আক্রান্তের বিষয়টি শনাক্ত হয়। পরে ওই এলাকাটি লকডাউন করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।