সিসিক ফান্ডের খাদ্যের প্যাকেট লুট, আটক ১

নন্দিত সিলেট: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ফান্ডের খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে দায়িত্বরত লোকজনকে মারপিট করে ১৮টি প্যাকেট লুটপাটের অভিযোগে রনি গাজী নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের হোসনাবাদ এলাকা থেকে আজ রবিবার (৫ এপ্রিল) তাকে আটক করা হয়। এছাড়াও দিলু নামের আরেকজনসহ অভিযুক্ত আরও ১০/১২ জনকে খুঁজছে পুলিশ। রনি গাজীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে সিসিক ফান্ডের খাদ্যসামগ্রী লুটপাটের বিষয়ে এসএমপি'র এয়ারপোর্ট থানায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সচিব মো. ইউসুফ আলী (২৮) বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি পরবর্তীতে মামলা হিসেবে রেকর্ড করে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ের ৮টার দিকে সিটি কর্পোরেশন ফান্ডের খাদ্যসামগ্রী এসএমপির এয়ারপোর্ট ও সিসিক'র ৫ নং ওয়ার্ডের আওতাধিন হোসনাবাদ এলাকায় পিকআপে করে বিতরণ করতে নিয়ে যান ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সচিব মো. ইউসুফ আলী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ত্রাণ বিতরণে সাহায্যকারী কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। হঠাৎ এসময় হোসনাবাদ এলাকার মৃত বিল্লাল গাজীর ছেলে রনি গাজী (২৮) ও মৃত হাফিজের ছেলে দিলু (৪৫) ৮/১০ জন দুর্বৃত্তকে সঙ্গে নিয়ে এসে ইউসুফ আলী ও স্বেচ্ছাসেবকদের উপর হামলা চালান। হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে পিকআপ থেকে খাদ্যের ১৮টি প্যাকেট লুট করে রনি গাজী ও দিলু। খবর পেয়ে দ্রুত স্থানীয় কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ ও জেলা প্রশাসকের ট্যাগ অফিসার আতাউর রহমানসহ স্থানীয় মুরুব্বিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে রনি গাজী ও দিলু তাদের লোকজন নিয়ে সটকে পড়ে। এদিকে, এ ঘটনার পর গতকালই ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সচিব মো. ইউসুফ আলী বাদি হয়ে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি পরবর্তীতে মামলা হিসেবে রেকর্ড করে পুলিশ। পরে আজ রবিবার এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে রনি গাজীকে আটক করে। এছাড়াও দিলুসহ বাকি অভিযুক্তদের হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। রনি গাজীকে আটকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়াপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন নন্দিত সিলেট-কে বলেন, আজ রনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতেও প্রেরণ করা হয়েছে। আর দিলুকে আমরা এখনও খুঁজে পাইনি। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে।