সিলেটে ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ

নন্দিত সিলেট:সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে বাসিন্দার ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার (৬ এপ্রিল) ইসলামপুর পুরাবাড়ি এলাকার জামে মসজিদের পাশে শতাধিক নারী পুরুষ খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ইসলামপুর পুরাবাড়ি এলাকার দিনমজুর আব্দুল গফুর বলেন, আজকে ১২ দিন ধরি আমরা অসহায়। সরকার থাকি ১টা চাউলও পাইছি না। আইজ ২ দিন ধরি ঘরও খাওন নাই। আমরার কাছে যে চাইর-পাঁচশ টেকা (চার-পাঁচশ টাকা) আছিল। ইতা খরচ কইরা শেষ। চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে গেছি তারা কইন আস্তা ইউনিয়নের ২ টন চাউল পাইছে। আস্তা গাউত আমরা মানুষ আছি সাড়ে ৪শ পরিবার। ত্রাণ দিছে মাত্র ৫ জনে। এর মধ্যে ধনী ২টা পরিবার আছে। তারা আমরা ত্রিশ-পয়ত্রিশ ঘরের মানুষরে সাহায্য করছে। কিন্তু সরকারি কোনো খাদ্য সামগ্রী পাইছি না। দিনমজুর সিদ্দেক আলী জানান, সরকারে কয় আপনারা ঘরও থাখুক্কা আমরা খাদ্য পাঠাইমু। কিন্তু আমরা কিচ্ছু পাইছি না। আমরা কুনতা ফাইরাম না বিধায় আজকে আমরা রাস্তাত নামতে বাধ্য হইছি। গৃহিনী জুহেরা বিবি বলেন, আমরা ঘরও বন্দি। কাম কাজ নাই, ঘরও খানি নাই। খাওন দিব দূরের কথা এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার কেউ কোনো খোঁজ খবরও নেয় না। আমরা অনাহারী মররাম। এর লাগি আমরা আইজ রাস্তাত নামছি। চা শ্রমিক জলিকা উড়াং বলেন, মানুষ কয় সরকারে অনুদান দিতাছে। কিন্তু আমরাতো অনুদান পাইলাম না। সরকার যে কাজ কাম বন্দ করলো, এখন ছেলে মেয়ে বাড়িতে। খাওন নাই। সরকার তো খোঁজ নিচ্ছে না। বিক্ষোভরত বেশ কয়েকজন গৃহিনী বলেন, আইজকা ২ দিন ধরি বাইচ্চাইন লইয়া ঘরো উফাস। ঘরো খানি নাই। বাইরে কাজ নাই। চেয়ারম্যান মেম্বারে দেইক্কা দেইক্কা কয়েকটা ঘরো খানি দিছুইন। আমরা পাইছি না। ৩নং খাদিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইসলামপুর ওয়ার্ডবাসী বিক্ষোভ করেছেন আমি শুনেছি। কিন্তু আমি কি করবো বলেন? সারা ইউনিয়নের জন্য মাত্র ২ টন চাল এসেছে। এই পরিমাণ চাল দিয়ে সবাইকে ত্রাণ দেওয়া সম্ভব না। যে এলাকার মানুষজন বিক্ষোভ করেছেন সে এলাকায় মাত্র ৫ জন চাল পেয়েছেন। কিন্তু এই এলাকায় আরও ত্রাণ দেওয়া প্রয়োজন। আমাদেরকে যে চাল দেওয়া হয়েছে। একটি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২২ পরিবারকে দিতে পেরেছি। কিন্তু ত্রাণ পাওয়ার মত অনেক পরিবার আছেন। অনেক খেটে খাওয়া মানুষজন আমার ইউনিয়নে আছেন। এখন সরকারি বরাদ্দ না আসলে কিচ্ছু করতে পারছি না।