বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কারে জিয়ার একধাপ এগিয়ে খালেদা

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমান দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া একধাপ এগিয়ে খুনি রশিদকে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১ সেপ্টেস্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সদ্যপ্রয়াত সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অধ্যাপক আলী আশরাফ যে এলাকা থেকে নির্বাচন করতেন সেখানে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদের বাড়ি ছিল। তার পাশেই খুনি মোশতাকের বাড়ি।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছিল। ওই নির্বাচন সব রাজনৈতিক দল ও দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছিল। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদকে এমপি করে এনে এই জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমান বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল, আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছিল। ’

অধ্যাপক আলী আশরাফের স্মৃতিচারণ ও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাকে আজ আমরা হারিয়েছি। অধ্যাপক আলী আশরাফ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন, তিনি জেল হত্যাকাণ্ডের বিচারের সাক্ষী দিয়েছেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন। এই সংসদে আমরা অনেক পার্লামেন্টারিয়ানকে হারিয়েছি। অধ্যাপক আলী আশরাফের মৃত্যুতে আমরা অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও নিবেদিত সমাজ সেবককে হারালাম।

শোক প্রস্তাবের ওপর আরও আলোচনা করেন—আওয়ামী লীগের মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ফারুক খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কাজী ফিরোজ রশিদ।