নির্বাচন না হলেও বার কাউন্সিলের কার্যক্রম চলমান থাকবে

দৈব দুর্বিপাক অথবা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার কাউন্সিলের নির্বাচন করা না গেলে কাউন্সিলের কার্যক্রম চলমান থাকবে। এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’ উত্থাপন করা হয়েছে। গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না করতে পারায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে গত ২৮শে জুলাই একটি অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি। নিয়মানুযায়ী গত পহেলা সেপ্টেম্বর সেই অধ্যাদেশটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী। ওই অধ্যাদেশের বিধানগুলো বিদ্যমান আইনে সংযোজন করতেই বিলটি আনা হয়েছে। সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ৩১শে মে’র মধ্যে বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।অতিমারি, মহামারি, দৈব ঘটনা অথবা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার কাউন্সিলের নির্বাচন করা না গেলে সরকার একটি ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করবে। এই কমিটির প্রধান হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এই অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ এক বছর। এই কমিটির মেয়াদ বাড়বে না বলেও বিলে বলা হয়েছে। বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত জুন মাসে। পদাধিকারবলে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অর্থাৎ অ্যাটর্নি জেনারেল। তাকে নিয়ে ১৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি বার কাউন্সিলের। ভোটের মাধ্যমে দেশের প্রায় অর্ধলাখ সনদপ্রাপ্ত আইনজীবী তিন বছরের জন্য ১৪ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। তার মধ্যে সাধারণ আসনে সাতজন ও দেশের সাতটি অঞ্চল থেকে বাকি সাতজনকে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করেন। এ ছাড়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষ অধিকার) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।