রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

সে কাউনিয়রচরে শশুর বশির উদ্দিনের বাড়ীতে বসবাস করে। স্ত্রী লিপি বেগমসহ তার ২ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
তবে নিহতের মা ছকিরন বেওয়া দাবি করেছেন, তার ছেলে কৃষি শ্রমিক। শনিবার ভোররাতে জিঞ্জিরাম নদীতে কয়েকজন মিলে মাছ ধরতে যায়। সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় বিএসএফ অন্যায়ভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুলি করে হত্যা করে। তিনি এ হত্যার বিচার দাবী করেন।
কুড়িগ্রাম-৩৫ জামালপুর বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম আজাদ’ কাছে জানতে চাইলে তিনি মিটিং-এ ব্যস্ত থাকায় অফিস স্টাফ হাবিলদার মুকিত এর সাথে কথা বলতে বলেন। হাবিলদার মুকিত স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানান, বিএসএফ’র গুলিতে সহিবর নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিষয়টি রৌমারী থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা বিওপি’র কমান্ডার জয়েন উদ্দিন জানান, রাত ২টার দিকে ওই সীমান্তে কয়েক রাউন্ড গোলাগুলির শব্দ শুনে একটি টহল দল ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। কিন্তু সে সময় বিএসএফ বা হতাহতের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়রা জানায় সীমান্ত থেকে ৫০-৬০গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লাশ পরে আছে।
রৌমারী থানার উপ পরিদর্শক আনোয়ারুল কবীর জানান, বিজিবি’র কাছে খবর পেয়ে শনিবার সকাল ৯টায় দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের খেতারচর থেকে সহিবুর রহমানের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। সীমান্ত থেকে ৫০/৬০ গজ দুরে জিঞ্জিরাম নদীতে লাশটি পরেছিল। পরে স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। লাশের বাম বুকে একটি গুলিবিদ্ধের চিহ্ন রয়েছে। লাশ সুরৎহালের পর দুপুর ১২টায় রৌমারী থানায় আনা হয়।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ, মোন্তাছির বিল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অনুমান করা হচ্ছে বিএসএফ’র গুলিতে সহিবর রহমান নিহত হয়েছে। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে সহিবর রহমান (৪০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত ২টার দিকে উপজেলার খেতার চর গ্রামের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৫৪-৭-টি এর কাছে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় নিহতের মা ছকিরন বেওয়া বিএসএফ’র বিরুদ্ধে গুলি করে হত্যার অভিযোগ এনে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ওই এলাকার ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, নিহত সহিবর রহমান মাঝরাতে ১০৫৪ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের কাছ দিয়ে সঙ্গীদের সাথে গরু পারাপার করছিল। এসময় ভারতীয় দ্বীপচর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা টের পেয়ে তাদের উপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এসময় ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সহিবুর রহমান। পরে শনিবার সকালে পুলিশ তার লাশ সুরতহাল শেষে দুপুরে রৌমারী থানায় নিয়ে যায়। সে একই ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামের ইরাজ উদ্দিনের পূত্র।