আশারকান্দি ইউপিতে নৌকার টিকেট পেতে রাজাকারের নাতির দৌড়ঝাঁপ

জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউপিতে ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন। নির্বাচনে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা পেতে রাজাকারের নাতির দৌড়ঝাঁপ ও লবিং করায় ক্ষুব্ধ স্থানিয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। হাট-বাজারের চলছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ। এরই মধ্যে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। উপজেলার ৮নং আশারকান্দি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে লড়তে তদবির করছেন আবু বকর খান খছরু। এলাকাবাসীর দাবি একাত্তরের চিহ্নিত রাজাকারের নাতি ও জামায়াত বিএনপির এজেন্ট যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবু বকর খান খছরু যে কোনো কিছুর বিনিময়ে নৌকার মাঝি হতে চান। তার এমন নেশায় স্থানিয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উষ্কে দিচ্ছে প্রার্থী হওয়ার জেদ। দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে কেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন, এমন সম্ভাবনা রয়েছে।জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু বকর খান খছরুর বাড়ির বরেণ্য রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আহবাব খানের পরিবার ছাঁড়া পুরো খান বাড়ির সকলে জামায়াত বিএনপির কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

এই জামালপুরের আবু বকর খান খছরু'র দাদা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর দোসর ও এলাকার চিহ্নিত রাজাকার ছিলেন। আশারকান্দি ইউনিয়নে পাক বাহিনীর শান্তি কমিটির অন্যতম প্রধান হিসেবে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম নিজামীর পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটিতে যোগদান করে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে।সাংবাদিক অপূর্ব শর্মার 'সিলেটে যুদ্ধাপরাধী ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র' বইয়ের ৯৫ নং পৃষ্ঠায় রাজাজার হিসেবে আবু বকর খান খছরু'র দাদা আবুল হাসেম খানকে উল্লেখ করা হয়েছে। নৌকার টিকেট প্রত্যাশী আবু বকর খানের আপন চাচাতো ভাই সুহেল আহমদ খান টুনু সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক। ২০১৭ সালে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নৌকার প্রার্থী বিজন কুমার দে'র বিরুদ্ধে। 

স্থানিয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের অভিযোগ জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির বর্তমান সদস্য সুহেল আহমদ খান টুনু পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপির বিরুদ্ধে অবস্থান করে সরকারবিরোধী বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী মালিক আবু বকর খান টাকা খরচ করে কিছু অনুসারী তৈরি করেছেন। তারা তাকে নৌকা প্রতীক পেতে যুক্তি, পরামর্শ দেয়। তাদের পরামর্শে তিনি যুক্তরাজ্য ও দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন। দলিয় প্রোগ্রামে ডোনেশন করে কয়েক নেতার নজর কাড়েন। সেই পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২০১৩ সালে ছোটভাইকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ এনে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। নিজে যুক্তরাজ্য শ্রমিকলীগ শাখার সহ-সভাপতি পরিচয় দেন। রাজাকারের নাতি, জামায়াত বিএনপির এজেন্টকে দলিয় প্রতীক না দিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানান আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।