শমসের-তৈমুরকে 'জাতীয় বেঈমান' বললেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারকে 'জাতীয় বেঈমান’ আখ্যায়িত করেছেন দলটির বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হওয়া নেতারা। দলের প্রার্থীদের মাঠে নামিয়ে দুই শীর্ষ নেতা এখন আর খোঁজ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এসময় শমসের, তৈমুর ও তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা দলের তহবিল থেকে টাকা তছরুপ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে দলীয় সংকট সমাধান করে নির্বাচনের মাধ্যমে তৃণমূল বিএনপি যেন সংসদের বিরোধী দল হতে পারে, সে জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দলটির এই নেতারা। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে তৃণমূল বিএনপির এক সভায় তারা এসব কথা বলেন। ‘তৃণমূল বিএনপির সব প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের কো-চেয়ারপারসন কে এ জাহাঙ্গীর মাজমাদার এবং সভাপতি হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা আসেননি। সভায় বিভিন্ন আসনে তৃণমূলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা দাবি করেছেন, দলের ১৩০ জন প্রার্থী এখন তাঁদের সঙ্গে আছেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-১৫ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী খন্দকার এমদাদুল হক ওরফে সেলিম। নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির ১৩৭ জন প্রার্থী আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন ও মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। আমাদের সুবিধা-অসুবিধা, কীভাবে আমরা নির্বাচন করছি, আমাদের কী প্রয়োজন, সে ব্যাপারে কোনো খোঁজখবর রাখছেন না।’

দলের শীর্ষ দুই নেতা সবার সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থী দিলে তৃণমূল বিএনপি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে পারত এবং অন্তত ১০০ আসন নিয়ে সংসদে বিরোধী দল হতে পারত বলে মন্তব্য করেন খন্দকার এমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘ওই দুই জাতীয় বেইমানের কারণে এটা হয়নি।