চিত্রনায়ক জসিমের ছেলে, তরুণ সংগীতশিল্পী ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এ কে রাতুল আর নেই।
আজ রবিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় একটি জিমে ব্যায়াম করার সময় হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে লুবানা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি—ঘণ্টাখানেক পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ কে রাতুল ছিলেন দেশের আন্ডারগ্রাউন্ড মিউজিক দৃশ্যের পরিচিত মুখ। ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট, বেজ গিটারিস্ট এবং অন্যতম সংগঠক হিসেবে তিনি বিশেষভাবে সক্রিয় ছিলেন। ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম গণমাধ্যমকে রাতুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একের পর এক তরুণ প্রতিভার অকালপ্রয়াণের মধ্যে এ কে রাতুলের মৃত্যু নিঃসন্দেহে একটি বড় ক্ষতি। একই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁর বাবার অসমাপ্ত জীবনের কথা।
১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর, মাত্র ৪৮ বছর বয়সে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান রাতুলের বাবা, ঢাকাই চলচ্চিত্রের অ্যাকশন নায়ক জসিম। আসল নাম আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন। জন্ম ১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার নবাবগঞ্জে। ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ সিনেমা দিয়ে রূপালি পর্দায় তাঁর যাত্রা শুরু হলেও ‘সবুজ সাথী’ চলচ্চিত্র দিয়ে নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ঢাকাই অ্যাকশন সিনেমার পথিকৃৎ।
বাবার মতোই, রাতুলও নিজের অঙ্গনে ছিলেন উদ্যমী, প্রতিশ্রুতিশীল। তবে দুজনেই জীবন থেমে যাওয়ার বয়সে পৌঁছাতে পারেননি। একজন ছিলেন রূপালি পর্দার নায়ক, আরেকজন সংগীতের মঞ্চে। সময়, বয়স আর পেশা আলাদা হলেও, দুজনের শেষ ঠিকানাই হয়ে উঠল অসময়ে ঝরে যাওয়া প্রাণের একটি করুণ পুনরাবৃত্তি।