গোলাপগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করতে এসে আটক প্রবাসী যুবক

নন্দিত সিলেট:সিলেটের গোলাপগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন সিলেটের জালালাবাদ থানার হাওসা গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছাঈদুর রহমান (৩০)। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের একটি অভিজাত পার্টি সেন্টারে বিয়ে করতে এসে এ যুবক পুলিশের হাতে আটক হন। জানা যায়, গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ছাইদুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার লাউতলা গ্রামের কাচা মিয়াকে যুক্তরাজ্যের লোভ দেখিয়ে তার কন্যা শাহিনা আক্তার রুমিকে বিয়ে করেন। প্রবাসী জামাতার বিশেষ প্রয়োজনে তিনি প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ঋণও দিয়েছিলেন তাকে। বিয়ের পর ছাইদুর রহমান যুক্তরাজ্য গিয়ে স্ত্রী ও শ্বশুড় বাড়ীর লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে সম্পর্কের অবনতি হয়। ছাইদুর রহমান তার প্রথম স্ত্রী রুমিকে রেখে কোন অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নেন। তিনি গোলাপগঞ্জের একটি মসজিদের ইমামের কন্যাকে পছন্দ করে এক পর্যায়ে ছাঈদুর রহমান প্রবাসে থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে তাদের আক্দ সম্পন্ন করেন। এ বিষয়টি জানতে পেরে প্রথম স্ত্রী শাহিনা আক্তার রুমি সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ছাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা (সি.আর মামলা নং-৫৪/২০২০) দায়ের করেন। এদিকে ছাইদুর রহমান বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার জন্য গত শুক্রবার দেশে আসেন। দেশে এসে তিনি গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ডাকবাংলায় একটি বাসা ভাড়া নেন। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা ক্রমে সিদ্ধান্ত হয় রোববার সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জের একটি পার্টি সেন্টারে ছাইদুর রহমান নতুন স্ত্রীকে বরণ করবেন। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাইদুর রহমান বর সেজে পার্টি সেন্টারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে সেখান থেকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। ছাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা জানান, যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসার পূর্বে ছাইদুর রহমান আমার কাছে দাবী করেন যুক্তরাজ্যের কৃষ্ণাঙ্গরা তার গাড়ী আটক করে তাকে মারধর করে সব টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। বিয়ে করতে হলে যে টাকার প্রয়োজন সে টাকা তার কাছে নেই। তাকে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ দিলে সে যুক্তরাজ্য গিয়ে তা পরিশোধ করবে। ইমাম সাহেব নতুন জামাতার কথা বিশ্বাস করে গত শুক্রবার ৩ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করে তার হাতে তুলে দেন। এব্যাপারে ছাইদুর রহমানের প্রথম স্ত্রী শাহিনা আক্তার রুমির বাবা কাচা মিয়া জানান, অনেক আশা করে আমার মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছাইদুর রহমানের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। সে আমার মেয়েকে বিয়ে করার পর নানা ভাবে তালবাহানা করে নগদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এছাড়াও বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে আরো প্রায় ৮/৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।