সবকিছু খুলে দেয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত

প্রথম তিন মাসে করোনা মোকাবিলায় সঠিক প্রস্তুতি না নেয়ায় এবং লকডাউন শিথিল করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এবং গণপরিবহন খুলে দেয়া হলে প্রতিদিন আমরা দেখবো যানজট। এবং এই যানজটের মধ্যদিয়ে করোনা তার কাজ ঠিকভাবে করে যেতে পারবে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এমন মন্তব্য করে বলেছেন, আমাদের ঠিক করতে হবে যে আমরা কোন প্রতিরোধে এগুচ্ছি। আমরা কি হার্ড ইমিউনিটির দিকে এগুচ্ছি। যদি হার্ড ইমিউনিটির পথ আমরা গ্রহণ করে থাকি সেটা খুব বেদনাদায়ক হবে। কারণ তাতে যে পরিমান মানুষকে সংক্রমিত হতে হবে এবং জীবন দিতে হবে সেই ক্ষতি আমরা সহ্য করতে পারবো না। তবে হার্ড ইমিউনিটি অনুসরণ করে কেউ সুবিধা করতে পারেনি। ডব্লিউএইচও’র স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমাদের এগুনো উচিৎ বলে মনে করি। কোনো দেশ এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের মত এভাবে একতরফাভাবে কোনো কিছু ছেড়ে দেয়নি। পাশ্ববর্তী দেশ পশ্চিম বাংলায় রেড জোন, অরেঞ্জ জোন, গ্রিন জোন করেছে। এভাবে করে তারা লকডাউন শিথিল করেছে। কারণ সব বন্ধ করে রাখা যাবে না। কিন্তু আমাদের এখানে আসল সমস্যাটা হচ্ছে আমরা সব কিছু ছেড়ে দিয়েছি। টেলিভিশনে দেখেছি ঢাকার রাস্তায় শুধু বাস (গণপরিবহন) ছাড়া সবই আছে। সুতরাং গণপরিবহন যদি খুলে দেয়া হয় তাহলেতো সোনায় সোহাগা। মানবজমিন এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় মেনন বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচিতো আর আমাদের হাতে না। এটা সরকারই নিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন করার যে কাজ বিশেষ করে নিজেকে এবং অন্যকে সুরক্ষা করা। এটা যাতে সবাই মেনে চলে এ বিষয়ে দলগতভাবে আমাদের কর্মীরা সব স্থানে কাজ করছে। একেবারে প্রথম দিকে আমাদের ছাত্ররা এবং যুবারা হ্যান্ড রাব, মাস্ক ইত্যাদি তৈরি করে সাধারণ মানুষের কাছে বিলি করেছে। ক্যাম্পেইন করেছে। পরবর্তীকালে আমাদের দলের পক্ষ থেকে দিন এনে দিন খাওয়া লোকদের ঘরে রাখতে তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এখনো এটা চলছে। তবে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি কর্মসূচি গ্রহণ করতে দলের লোকেরা দু এক দিনে বসে ঠিক করবে। এর বাইরে সরকারের উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো হতদরিদ্রদের জন্য যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকা যেটা সরকার দিচ্ছে। এগুলো যাতে সঠিকভাবে তৈরি হয় এ বিষয়ে বিভিন্ন জেলায় আমাদের দলীয় নেতা কর্মীরা কাজ করছেন। আর আমাদের কৃষকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করে যেখানে ধান কাটার অসুবিধা হচ্ছে সেখানে কৃষককে ধান কাটতে সহযোগীতা করছে। যেখানে মনে হয়েছে সহযোগীতা করা প্রয়োজন সেখানেই করছে। হতদরিদ্রদের আড়াই হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের একটি অসুবিধা হচ্ছে, আমরা প্রথমেই জনপ্রতিনিধিদেরকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাই। কিন্তু তার আগে যারা এই তালিকা তৈরির জন্য রুটিন সময় হাতে দিয়েছেন এবং সেই রুটিন সময়ের মধ্যে সবার নাম দিতে হবে। তাদেরতো আমরা কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি না। এটা ঠিক যে কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি আছে যারা এসকল কর্মকা- অংশ নেন। কিন্তু এদের সুযোগটা করে দেয় যে আমলারা তাদের আমরা আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাই না। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে মাত্র দু দিনের ব্যবধানে এই তালিকা তারা চেয়েছে। সেক্ষেত্রে একটি নিচ্ছিদ্র শুদ্ধ তালিকা দিতে তার জন্য যে আয়োজন করা প্রয়োজন ছিলো সেগুলো কিন্তু করা হয়নি। অনেক জায়গায় যারা অসাধু এবং অনৈতিক কাজ করে তারা এ সুযোগটি নিতে পারে এবং নিচ্ছে। করোনায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে লিখিত ভাবেও আমরা বলেছি। আমরা প্রথম তিন মাস যে প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন ছিলো সে প্রস্তুতি আমরা সঠিকভাবে নেইনি। যার ফলে যখন সকল নাগরীকের করোনা পরীক্ষার প্রশ্ন এসেছে আমরা সেগুলো করতে পারিনি। এখন এটা (পরীক্ষা) যতই বিস্তৃত হয়েছে ততই সনাক্তকরণ বাড়ছে। এই সময়কালে আবার লকডাউনও আমরা শিথিল করে দিয়েছি। এবং শিথিল করা এই দু’য়ে মিলে যে একটি অসঙ্গতি কাজ করছে এর ফলে করোনা পরিস্থিতি আমার মনে হয়, হয়তো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইতোমধ্যে গার্মেন্টস, শপিং মল, দোকান ইত্যাদি খুঁলে দেয়া হয়েছে। গার্মেন্টস মালিকদের এতোই যদি ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে তারা কারখানা চালাচ্ছে কীভাবে? আসলে তারা খুব সত্য কথা বলেছে বলে মনে হয় নি। তারা তাদের লোভ সামলাতে পারেনি। যার জন্য এই সাধারণ শ্রমিকদের দিয়ে তারা কাজ করিয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে শ্রমিকদের বেতন ভাতা তারা সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েই দিচ্ছে। কিন্তু তার পরেও তারা শ্রমিকদের ৬০ ভাগ বেতন দিচ্ছে। এমনকি বোনাসও তারা দিতে সম্মত হচ্ছে না। মনে হয়েছে সবটাই তারা একটি অনৈতিক ভিক্তিতে এ কাজ করে সমস্ত জাতিকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সর্বোপরি বলবো, আমাদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের জন্য যে প্রচেষ্টা অব্যহত আছে সেক্ষেত্রে আমাদের জীবন জীবিকায় সমন্বয় করতে হবে। এবং সেটা করতে গেলে ধাপে ধাপে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে আইসোলেট করে তার পরে আমাদেরকে এগুতে হবে। এর বাইরে সকল কিছু খুলে (উন্মুক্ত করা) দেয়া মানে আমাদের একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। প্রথম তিন মাসে করোনা মোকাবিলায় সঠিক প্রস্তুতি না নেয়ায় এবং লকডাউন শিথিল করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এবং গণপরিবহন খুলে দেয়া হলে প্রতিদিন আমরা দেখবো যানজট। এবং এই যানজটের মধ্যদিয়ে করোনা তার কাজ ঠিকভাবে করে যেতে পারবে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এমন মন্তব্য করে বলেছেন, আমাদের ঠিক করতে হবে যে আমরা কোন প্রতিরোধে এগুচ্ছি। আমরা কি হার্ড ইমিউনিটির দিকে এগুচ্ছি। যদি হার্ড ইমিউনিটির পথ আমরা গ্রহণ করে থাকি সেটা খুব বেদনাদায়ক হবে। কারণ তাতে যে পরিমান মানুষকে সংক্রমিত হতে হবে এবং জীবন দিতে হবে সেই ক্ষতি আমরা সহ্য করতে পারবো না। তবে হার্ড ইমিউনিটি অনুসরণ করে কেউ সুবিধা করতে পারেনি। ডব্লিউএইচও’র স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমাদের এগুনো উচিৎ বলে মনে করি। কোনো দেশ এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের মত এভাবে একতরফাভাবে কোনো কিছু ছেড়ে দেয়নি। পাশ্ববর্তী দেশ পশ্চিম বাংলায় রেড জোন, অরেঞ্জ জোন, গ্রিন জোন করেছে। এভাবে করে তারা লকডাউন শিথিল করেছে। কারণ সব বন্ধ করে রাখা যাবে না। কিন্তু আমাদের এখানে আসল সমস্যাটা হচ্ছে আমরা সব কিছু ছেড়ে দিয়েছি। টেলিভিশনে দেখেছি ঢাকার রাস্তায় শুধু বাস (গণপরিবহন) ছাড়া সবই আছে। সুতরাং গণপরিবহন যদি খুলে দেয়া হয় তাহলেতো সোনায় সোহাগা। মানবজমিন এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় মেনন বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচিতো আর আমাদের হাতে না। এটা সরকারই নিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন করার যে কাজ বিশেষ করে নিজেকে এবং অন্যকে সুরক্ষা করা। এটা যাতে সবাই মেনে চলে এ বিষয়ে দলগতভাবে আমাদের কর্মীরা সব স্থানে কাজ করছে। একেবারে প্রথম দিকে আমাদের ছাত্ররা এবং যুবারা হ্যান্ড রাব, মাস্ক ইত্যাদি তৈরি করে সাধারণ মানুষের কাছে বিলি করেছে। ক্যাম্পেইন করেছে। পরবর্তীকালে আমাদের দলের পক্ষ থেকে দিন এনে দিন খাওয়া লোকদের ঘরে রাখতে তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এখনো এটা চলছে। তবে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি কর্মসূচি গ্রহণ করতে দলের লোকেরা দু এক দিনে বসে ঠিক করবে। এর বাইরে সরকারের উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো হতদরিদ্রদের জন্য যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকা যেটা সরকার দিচ্ছে। এগুলো যাতে সঠিকভাবে তৈরি হয় এ বিষয়ে বিভিন্ন জেলায় আমাদের দলীয় নেতা কর্মীরা কাজ করছেন। আর আমাদের কৃষকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করে যেখানে ধান কাটার অসুবিধা হচ্ছে সেখানে কৃষককে ধান কাটতে সহযোগীতা করছে। যেখানে মনে হয়েছে সহযোগীতা করা প্রয়োজন সেখানেই করছে। হতদরিদ্রদের আড়াই হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের একটি অসুবিধা হচ্ছে, আমরা প্রথমেই জনপ্রতিনিধিদেরকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাই। কিন্তু তার আগে যারা এই তালিকা তৈরির জন্য রুটিন সময় হাতে দিয়েছেন এবং সেই রুটিন সময়ের মধ্যে সবার নাম দিতে হবে। তাদেরতো আমরা কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি না। এটা ঠিক যে কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি আছে যারা এসকল কর্মকা- অংশ নেন। কিন্তু এদের সুযোগটা করে দেয় যে আমলারা তাদের আমরা আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাই না। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে মাত্র দু দিনের ব্যবধানে এই তালিকা তারা চেয়েছে। সেক্ষেত্রে একটি নিচ্ছিদ্র শুদ্ধ তালিকা দিতে তার জন্য যে আয়োজন করা প্রয়োজন ছিলো সেগুলো কিন্তু করা হয়নি। অনেক জায়গায় যারা অসাধু এবং অনৈতিক কাজ করে তারা এ সুযোগটি নিতে পারে এবং নিচ্ছে। করোনায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে লিখিত ভাবেও আমরা বলেছি। আমরা প্রথম তিন মাস যে প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন ছিলো সে প্রস্তুতি আমরা সঠিকভাবে নেইনি। যার ফলে যখন সকল নাগরীকের করোনা পরীক্ষার প্রশ্ন এসেছে আমরা সেগুলো করতে পারিনি। এখন এটা (পরীক্ষা) যতই বিস্তৃত হয়েছে ততই সনাক্তকরণ বাড়ছে। এই সময়কালে আবার লকডাউনও আমরা শিথিল করে দিয়েছি। এবং শিথিল করা এই দু’য়ে মিলে যে একটি অসঙ্গতি কাজ করছে এর ফলে করোনা পরিস্থিতি আমার মনে হয়, হয়তো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইতোমধ্যে গার্মেন্টস, শপিং মল, দোকান ইত্যাদি খুঁলে দেয়া হয়েছে। গার্মেন্টস মালিকদের এতোই যদি ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে তারা কারখানা চালাচ্ছে কীভাবে? আসলে তারা খুব সত্য কথা বলেছে বলে মনে হয় নি। তারা তাদের লোভ সামলাতে পারেনি। যার জন্য এই সাধারণ শ্রমিকদের দিয়ে তারা কাজ করিয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে শ্রমিকদের বেতন ভাতা তারা সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েই দিচ্ছে। কিন্তু তার পরেও তারা শ্রমিকদের ৬০ ভাগ বেতন দিচ্ছে। এমনকি বোনাসও তারা দিতে সম্মত হচ্ছে না। মনে হয়েছে সবটাই তারা একটি অনৈতিক ভিক্তিতে এ কাজ করে সমস্ত জাতিকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সর্বোপরি বলবো, আমাদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের জন্য যে প্রচেষ্টা অব্যহত আছে সেক্ষেত্রে আমাদের জীবন জীবিকায় সমন্বয় করতে হবে। এবং সেটা করতে গেলে ধাপে ধাপে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে আইসোলেট করে তার পরে আমাদেরকে এগুতে হবে। এর বাইরে সকল কিছু খুলে (উন্মুক্ত করা) দেয়া মানে আমাদের একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।