শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে মাইকিং

বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বের সর্বত্র। পুরো বিশ্ব যেন করোনার ছোবলে থমকে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে করোনার প্রকোপ তীব্র আকার ধারণ করেছে। করোনাকালীন সময়ে কোনরকমভাবে কষ্টে জীবন যাপন করেছে দেশের খেটে-খাওয়া দিনমজুর, অসহায় ও দুঃস্থরা। যেখানে জীবন টিকিয়ে রাখাই হিমশিম খাচ্ছে মানুষ এই মুহুর্তে সাধারণ মানুষের মাথায় বিদ্যুৎ বিলের বোঝা যেন মরার উপরে খাড়ার ঘা। সোমবার (১৮ মে) বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জে বিল দেয়ার জন্য মাইকিং করিয়েছে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এ বিষয়টি নিয়ে সারা শায়েস্তাগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিজ্ঞাপন মঙ্গলবার ১৯ মে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং বাজারে দেখা যায় পল্লী বিদ্যুৎ এর একদল লোক বিল গ্রহণ করছেন, তাও কোনও সামাজিক দূরত্ব ছাড়া । এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ এর প্লান্ট ম্যানেজার নুরে আলম জানান, আমরা সব জায়গারই বিল গ্রহণ করছি, গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা বিল নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ ৩-৪ মাসের বিল একত্রে দিতে গেলে গ্রাহকদের অসুবিধা হতে পারে। এদিকে মাইকিং শুনে বিল দিতে আসা অনেকেই সংযোগ কেটে দেওয়ার ভয়ে বিল দিতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। বিল দিতে আসা গ্রাহকরা মানছেন না কোন সামাজিক দূরত্ব, ফলে থাকছে করোনার ঝুঁকি। দেশে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেব্রুয়ারি-মার্চ-এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব ফি (মাশুল) মওকুফ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল এবং করোনার সংক্রমণ থাকাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ বিল জমা না নেওয়ার জন্য ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বিদ্যুৎ বিল জমা নিচ্ছে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোতাহের হোসেন বলেন, আমরা বিল দেওয়ার জন্য কাউকেই জোর করছি না এবং বিল না দিলে কারও সংযোগ কাটা হবে না। ব্যাংক বিল না নেওয়ার কারণে আমরা যথেষ্ট পরিমাণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কোনরকম বিলম্ব ফি ছাড়াই বুথ বসিয়ে বিল গ্রহণ করছি। সরকার থেকে এই চলমান সংকটে বিল গ্রহণ নিষেধ ছিল, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, পিডিবির অনেক টাকা আমাদের কাছে পাওনা রয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ কিনে আনি। সেই বিল দেওয়ার জন্যই সরকার থেকে আবার বিল গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।