একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ১৮৭৩, মৃত্যু ২০

২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২০ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ১ হাজার ৮৩৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭৮ জন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৫২ জনের। শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, ৪৭টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯ হাজার ৯৭৭টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৮৩৪টি। পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে ১ হাজার ৮৩৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭৮ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ৪ জন নারী। মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ২ জন, রাজশাহী বিভাগের ২ জন, রংপুর বিভাগের ২ জন, খুলনা বিভাগের ১ জন ও সিলেট বিভাগে ১ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, ৪ জন মারা গেছেন বাড়িতে। আর একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৬ জন সুস্থ হয়েছেন বলেও জানান নাসিমা সুলাতানা। এ নিয়ে মোট ৬ হাজার ৪৮৬ জন সুস্থ হয়েছেন। তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৮৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৩০৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪১ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৬৯ জন। নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৩২২ জনকে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৬০ হাজার ৪১৬ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৮৮ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ পাঁচ হাজার ২৫৯ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৫ হাজার ১৫৭ জন। প্রসঙ্গত, গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। শুরুর দিকে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও এখন সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের উহানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। ভাইরাসটি ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। চীনের পর ইরান, কোরিয়াসহ বেশকিছু দেশে সংক্রমণ ছড়ালেও সবচেয়ে বেশি করোনা আঘাত হানে ইতালি, স্পেনসহ ইউরোপের দেশগুলোতে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। করোনায় মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষেও রয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (প্রতিবেদন লেখার সময়) ৩ লাখ ৪০ হাজার ২৪১ জন মানুষ। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৩২ জন । অন্যদিকে সুস্থ হয়েছেন ২১ লাখ ৬৯ হাজার ২২৩ জন।