বাস চলাচলে সরকারের ১২ শর্ত

১২টি শর্ত কঠোরভাবে মেনে বাস চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের এক মতবিনিময় সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি ১২টি শর্তের কথা তুলে ধরেন। রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের। নির্দেশনাগুলো হল- ১. স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও শারীরিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। ২. বাস টার্মিনালে কোনোভাবেই ভিড় করা যাবে না। ৩. তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীরা গাড়ির জন্য লাইনে দাঁড়াবেন এবং টিকিট কাটবেন। ৪. স্টেশনে পর্যাপ্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৫. বাসে কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবে না। ৬. বাসের সব সিটে যাত্রী নেয়া যাবে না। ৭. ২৫- ৩০ শতাংশ সিট খালি রাখতে হবে। ৮. পরিবারের সদস্য হলে পাশের সিটে বসানো যাবে অন্যথায় নয়। ৯. যাত্রী, চালক, সহকারী, কাউন্টারের কর্মী সবার জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। ১০. ট্রিপের শুরুতে এবং শেষে বাধ্যতামূলকভাবে গাড়ির অভ্যন্তরভাগসহ পুরো গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। ১১. যাত্রী ওঠা-নামার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। ১২. চালক, কন্ডাক্টদের ডিউটি একটানা দেয়া যাবে না এবং তাদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোয়ারেন্টিন বা রেস্ট দিতে হবে। এই ১২টি শর্তের পাশাপাশি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে পথিমধ্যে থামানো, চা বিরতি অ্যাভয়েড করতে পারলে ভালো। কারণ, সংক্রমণ কোথা থেকে হবে তা কেউই জানে না। যাত্রীদের হাত ব্যাগ ও মালামাল জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে। ভাড়া নির্ধারণের জন্য বিআরটিএর একটি কমিটি রয়েছে। সে কমিটি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে যুক্তিসঙ্গত ভাড়া চূড়ান্ত করবে। মন্ত্রী আরও বলেন, পুলিশ প্রশাসন, বিআরটিএ এবং মন্ত্রণালয় আপনাদের সহযোগিতা দেবে। পাশাপাশি নিয়ম অমান্য করলেও শাস্তির কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। এজন্য বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট সক্রিয় থাকবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।