কানাডায় খুলছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সবার দৃষ্টি অ্যাবকেলেরায়

কানাডার প্রায় প্রতিটি প্রদেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। যদিও দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসে দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮৯ হাজার ৪১৮ জন। মারা গেছে ৬ হাজার ৯৭৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪৭ হাজার ৫১৮ জন। সে হিসাবে দেশটিতে এখনও ৩৪ হাজারের বেশি করোনা রোগী চিকিৎসাধীন, যাদের মধ্যে ১ হজার ৭১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর পরেও অর্থনীতি সচল রাখতে সব কিছুই ধীরে ধীরে খুলে দিচ্ছে কানাডা সরকার। তবে সবকিছু মিলিয়ে এখনও কানাডার অধিবাসীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অন্যদিকে কানাডার ওষুধ আবিষ্কার সংক্রান্ত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাবকেলেরার দিকে চোখ এখন সবার। প্রতিষ্ঠানটি করোনাভাইরাস চিকিৎসা এবং অন্যান্য ওষুধ নিয়ে কাজ করা ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলোর জন্য অ্যান্টিবডিগুলোর বিশ্লেষণ ও শনাক্তকরণ কাজ করে দেয়। বুধবার অ্যাবকেলেরা ঘোষণা দিয়েছে, তারা নতুন করে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার তহবিল পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। অ্যাবকেলেরার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কার্ল হ্যানসন বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগী থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এলি লিলি অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে কাজ করছে অ্যাবকেলেরা। তারা মূলত কম্পিউটার ভিশন ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে রক্তের নমুনা থেকে দ্রুত তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো তখন এসব তথ্য ব্যবহার করে ওষুধ প্রস্তুত করে থাকে। মানুষের রক্তের নমুনা ক্রেডিট কার্ডের সমান একটি যন্ত্রে ঢোকানো হয়, যাতে আড়াই লাখ চেম্বার থাকে। একটি কম্পিউটার নমুনা কোষ থেকে চেম্বারে লুকিয়ে থাকা অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে, যা নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এবং এটি বিকাশের পক্ষে উপযুক্ত কি না, তা নির্ধারণ করে। হ্যানসন বলেন, নতুন করে যে তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে, তা দিয়ে আরও ১০০ জন সফটওয়ার ও ডেটা বিজ্ঞানী নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে কোম্পানিটিতে ১৪০ জন কর্মী রয়েছে। কোম্পানিটি আরেকটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র খুলবে। হ্যানসন আরও জানান, নতুন বিনিয়োগ ছাড়াও অ্যাবকেলেরা কানাডীয় সরকার থেকে ১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার মঞ্জুরি পেয়েছে, যাতে অ্যান্টিবডিভিত্তিক ওষুধ তৈরির স্থাপনা তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে মহামারি সৃষ্টি করতে পারে এমন রোগের বিরুদ্ধে লড়তে এটি কাজে আসবে। এদিকে অ্যাবকেলেরা দাবি করেছে, তারা ক্যানসার, ইমিউনো-অনকোলজি, ব্যথা ও মেটাবলিক ডিজঅর্ডারের মতো রোগের ওষুধ তৈরিতে অ্যান্টিবডি বের করেছে।