মিথ্যা বলার অভিযোগ, ফোর্বসের বিলিয়নারদের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন কাইলি জেনার

২০১৯ সালে জেনারকে বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম ‘সেল্ফ-মেইড’ বা আত্মনির্ভরশীল বিলিনয়ার হিসেবে ঘোষণা দেয় ফোর্বস। তাদের ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সমালোচকরা জেনারকে ফোর্বসের ‘সেল্ফ-মেইড’ আখ্যাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন । তার কার্দাশিয়ান পরিবারের রিয়ালিটি টিভি তারকা হওয়ার দিকে আঙুল তোলেন। বিশ্বজুড়ে বিলিনয়ারদের তালিকা তৈরিতে প্রসিদ্ধ সাময়ীকি ফোর্বস গত বছর জানিয়েছিল, নিজের তৈরি প্রসাধনী বিক্রি করে বিপুল সম্পদ আয় করেছেন জেনার। তিনি ‘কাইলি কসমেটিকস’ ও ‘কাইলি স্কিন’ এর প্রতিষ্ঠাতা। গত বছর নিজ প্রতিষ্ঠানের ৫১ শতাংশ শেয়ার প্রসাধনী জায়ান্ট কোটির কাছে ৬০ কোটি ডলারের বিনিময়ে বিক্রির ঘোষণা দেন জেনার। শুক্রবারের ওই প্রতিবেদনে ফোর্বস জানিয়েছে, কার্দাশিয়ান পরিবারের একাউন্টেন্টের দেয়া কর ফেরত হিসাব অনুসারে, ২০১৬ সালে কাইলির প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান ৩০ কোটি ডলারের বেশি ও এর পরের বছর ৩৩ কোটি ডলার আয় করেছে। কিন্তু কোটির প্রকাশিত তথ্যানুসারে, জেনারের প্রতিষ্ঠান যেমনটা ঘোষণা দেয়া হয়েছে তার চেয়ে অনেক ছোট ও তার পরিবার যেমন করে এর প্রচারণা চালিয়েছে তার চেয়ে কম লাভজনক। বিনিয়োগকারীদের কাছে কোটির দেয়া তথ্যানুসারে, ২০১৮ সালে জেনারের প্রতিষ্ঠান আয় করেছেন মাত্র ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ফোর্বস তাদের প্রতিবেদনে লিখে, কাইলি কসমেটিকস যদি ২০১৮ সালে ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করে তাহলে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা ২০১৭ সালে ৩৩ কোটি ডলার আয় করতে পারে ? ফোর্বস জানায়, প্রকৃত আয় লুকালেও জেনারের নিজস্ব পকেট ভরপুরই রয়েছে। নিজের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করে ৩৪ কোটি ডলার আয় করেছেন তিনি। সাময়ীকিটি জানায়, বর্তমানে তার মোট সম্পদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৯০ কোটি ডলার।