টাইগারদের মাঠে ফেরা এখনো অনিশ্চয়তায়

করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২২শে মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের ক্রিকেট। এরই মধ্যে বাতিল হয়েছে একের পর এক আন্তর্জাতিক সফরও। বর্তমানে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। মারা গেছে ৬’শর কাছাকাছি মানুষ। এ চরম ভয়াবহতার মধ্যে দেশের গণপরিবহন থেকে শুরু করে অফিস ও মার্কেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ক্রিকেটারদেরও দাবি ছিল যেন ঈদের পর খেলা আয়োজন করে বিসিবি। অন্তত ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ যেন মাঠে গড়ায়। কিন্তু দেশের সাধারণ ছুটি আর না বাড়লেও মাঠে ক্রিকেট ফিরতে লাগবে আরো সময়। এমনকি বিসিবি এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এখন পর্যন্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘না, এখনো খেলা কবে শুরু হবে তা নিয়ে আমরা (বিসিবি) কোনে সিদ্ধান্ত নেইনি। আর আইসিসি যে গাউড লাইন দিয়েছে তা মেনে খেলা শুরু করাও কঠিন, সময় সাপেক্ষ বিষয়। বিসিবি এখনো বাসা থেকেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ধীরে ধীরে আমরা পরিস্থিতি বুঝে সব শুরু করবো। তবে মাঠে খেলা ফিরতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।’ আগে থেকেই বিসিবি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। কারণ হঠাৎ করে খেলা শুরু করলেও হতে পারে ক্ষতির কারণ। যদিও জালাল ইউনুস ঝুঁকির চেয়ে খেলা শুরুর প্রক্রিয়াগুলোকে কঠিন মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আসলে ঝুঁকিতো আছেই। তবে সেটির চেয়ে বড় কথা হলো খেলা শুরু করতে হলে আমাদের অনেক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আমরা দ্রুতই হয়তো আলাপ আলোচনায় বসবো। ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা হবে। কিভাবে খেলা শুরু করা যায় কবে সেটি করা যায় এসব বিষয় আছে। অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্রিকেট শুরু করতে হবে। তাই এসব সময় সাপেক্ষ। দেখেন আইসিসির সভাও কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। তাই খেলা মাঠে ফেরার বিষয়টা আমাদের অনেক আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংস্থার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হবে। বিশেষ করে দাপ্তরিক কাজগুলো। এ জন্য তারা নিরাপদ কর্মপরিকল্পনাও তৈরি করছেন। ক্রিকেটদের জোরালো দাবি ছিল ঈদের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ ফের শুরু করার। এ জন্য বিসিবি ও সিসিডিএমকে ঈদের আগে চিঠিও দিয়েছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অব বাংলাদেশ (কোয়াব) । তবে ক্রিকেটারদের সেই আশা সহসাই পূরণ হচ্ছে না। কারণ এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের আলোচনাই হয়নি বলে জানিয়েছেন সিসিডিএমের সদস্য সচিব আলী হোসেন। তিনি বলেন, ‘লীগ শুরুর কোনো নিদের্শ এখনো আমরা পাইনি। এ নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি ঈদের পর। সবচেয়ে বড় যে বিষয়, সরকার কিন্তু ক্রিকেট শুরুর নির্দেশ দেয়নি। এমনকি ক্রীড়ান্ত্রণালয়ও কোনো নির্দেশ আমাদের পাঠায়নি। আমরা সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই তা নিয়ে ভাববো। আর ক্রিকেট শুরু করবো বললেই তো হবে না। এখানে আমাদের অনেক কিছু মেনে চলতে হবে। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টা আসবে সবার আগে।’ সহসা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলতে পারছেন না তামিম ইকবাল, মুমিনুল হকরা। জুনের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলতে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি নিয়ে বিসিবি কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। অবশ্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান শ্রীলঙ্কা সফরের আশা দেখছেন না বলেই জানিয়েছেন।