যে কোনো অন্যায়েরই মাসুল দিতে হয়: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিদিন মৃত্যুর বিভীষিকা হানা দিচ্ছে সর্বত্রই। পরিচিত মানুষের মৃত্যুর খবর শুনে ঘুমোতে যাচ্ছি আবার ঘুম থেকে উঠেও শুনছি অসংখ্য দুঃসংবাদ। কিন্তু সরকারের হিংসা-বিদ্বেষ ও নির্মমতা থেমে নেই। করোনা ভয়ের পাশাপাশি গ্রেফতার, গুম আর মিথ্যা মামলার আতঙ্কে দিন কাটছে দেশবাসীর। সামান্য সমালোচনা করলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার খড়গ নেমে আসে। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা ভুলে গেছে যে, যে কোনো অন্যায়েরই মাসুল দিতে হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এসব কথা বলেন। বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের খরচ বাড়ানোর বরাদ্দের বিষয়ে রিজভী বলেন, পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশ করোনাভাইরাস মোকাবেলার খাতে অধিকতর পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার স্বার্থে এবং করোনা-উত্তর অর্থনৈতিক মন্দাকে সামনে রেখে সরকারি খরচ হ্রাস করছে। নানা ধরনের সরকারি ব্যয় সংকোচনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট নিজেদের ব্যয় কমিয়ে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের অনির্বাচিত সরকার হাঁটছে উল্টোদিকে। এই করোনাভাইরাসের সংকটের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি অফিসের ব্যয় বাড়িয়েছেন ৯৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের খরচের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। গত বছর ৩ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার পর ব্যাপক সমালোচনা হলেও সরকার এতে কর্ণপাত করেনি। একটি অফিস খরচের জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ নিয়ে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হওয়াটাই স্বাভাবিক। সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই বলে মন্তব্য করেন রিজভী। বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দলের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, নেতা ও ভিআইপিদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছেন। তাদের জন্য দ্রুততার সঙ্গে সিএমএইচ, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, হেলিকপ্টার, আইসিইউ, ভেন্টিলেটরসহ সব সুবিধা নিশ্চিত করছেন। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তাতেই মারা যাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের কোনো খবর নিচ্ছেন না। কারণ জাতীয় নিশুতি রাতের নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মসনদে থাকতে দেশের সাধারণ মানুষের কোনো প্রয়োজন হয় না। ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধুই ভিআইপি লাইভস ম্যাটার। গরিব মানুষের জীবন উপেক্ষিত’-যোগ করেন রিজভী।