মানুষ বাঁচানোই এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র রাজনীতি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও মানুষ বাঁচানোই হচ্ছে এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র রাজনীতি। তিনি বলেন, ‘দেশের এই সংকটকালে সরকার ও আওয়ামী লীগ কোনো রাজনীতি করছে না। করোনার সংক্রমণ রোধ ও মানুষ বাঁচানোই হচ্ছে এখন একমাত্র রাজনীতি।’ ওবায়দুল কাদের বুধবার তাঁর সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বরাবরের মতো সরকারের বিরুদ্ধে বিরূপ সমালোচনা করতে গিয়ে বিরাজনীতি করণের অভিযোগ এনেছেন। এ সংকটকালে সরকার তো কোন রাজনীতি করছে না? এমন কি আওয়ামী লীগও এসময়ে কোন রাজনৈতিক কার্যক্রম করছে না।’ তিনি বলেন, যদি কোন রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থে ভালো পরামর্শ দিতে চায়, সেটা সরকার গ্রহণ করবে। কোন ভুল হলে ভুল সংশোধন করার সৎ সাহস সরকারের রয়েছে। সরকারের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে’ বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে নেতিবাচক ও অন্ধ সমালোচনা নির্ভর রাজনীতির জন্য বিএনপিরই পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বক্তৃতা, বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করা ছাড়া বিএনপির এখন আর কোন রাজনীতি নেই। অসহায় মানুষ থেকে তাদের অবস্থান এখন যোজন যোজন দূরে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সরকারি ও অনেক বেসরকারি হাসপাতালগুলো যখন করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ফ্রন্টলাইনে কর্মরত যোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে কাজ করছেন। তখন কিছু হাসপাতাল-ক্লিনিক যে কোনো সাধারণ সেবায় গেলেও বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করানোর কথা বলছে, কিংবা করোনা রিপোর্ট ছাড়া চিকিৎসা দিচ্ছেন না। এমনকি কোনো কোনো হাসপাতাল রোগী ভর্তি না করার জন্য নানান ছলচাতুরী আশ্রয় নিচ্ছে, এ মুহূর্তে এটা সমীচীন নয়। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, কিছু বেসরকারি হাসপাতাল যারা মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে বাণিজ্য করছে। তাদের এব্যাপারে সর্তক হওয়া উচিত। এ দুর্যোগে মানবিক হওয়া উচিত। অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা পরিহার করে সঠিক সেবা দান করুন। জটিল রোগীদের তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান দেরি হলে তা মৃত্যুর ঝুঁকিতে পতিত হবে। সেতুমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ৬৬টি পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকার পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় নমুনা পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।