কাতারে লাখ ছাড়িয়েছে আক্রান্ত, কুয়েতে ৫০ হাজার

কাতারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। কুয়েতে এ সংখ্যা ৫০ হাজার। কাতারে বসবাস করেন প্রায় ২৮ লাখ মানুষ। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ায় বিশ্বে সর্বোচ্চ সংক্রমণের যেসব দেশ আছে তার মধ্যে অন্যতম কাতার। সোমবারে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে প্রতিদিন ২৩৫৫ তে উঠে আসে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু সেখান থেকে আস্তে আস্তে কমতে থাকে। সোমবার এ ধারায় যুক্ত হয় ৫৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা যান ৫ জন। সব মিলে সেখানে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৩৩। আর আক্রান্ত এক লাখ ৩৪৫। উল্লেখ্য, কাতারের মোট জনসংখ্যার শতকরা মাত্র ১২ ভাগ কাতারের নাগরিক। উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশেই এমন অবস্থা। এসব দেশে, বিশেষ করে কাতারে কম বেতনের অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেশি হয়েছে। তারা বসবাস করেন গাদাগাদি করে। এখানে কোনো কারফিউ আরোপ করা হয় নি। গত ১৫ই জুন চতুর্থ দফায় বিধিনিষেধ তুলে নেয়া শুরু করে দেশটি। দ্বিতীয় দফা শুরু হয় ১লা জুলাই থেকে। এর ফলে সেখানে সীমিত সময়ের জন্য রেস্তরাঁ, সমুদ্র সৈকত ও বিভিন্ন পার্ক খুলে দেয়া হয়। ৬ জাতির গাল্‌ফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের সবচেয়ে বড় দেশ সৌদি আরবের পরে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন কাতারে। সৌদি আরবে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৪ লাখ ৮৯ হাজার এবং মারা গেছেন ৩ হাজার মানুষ। ওদিকে কুয়েতে সোমবার নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৩৮ জন। সব মিলে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬৪৪। মৃতের সংখ্যা ৩৭৩। জুনের শুরুতে ৫ দফা পরিকল্পনা নেয় কুয়েত। এর মাধ্যমে আস্তে আস্তে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার কথা বলা হয়। এর অধীনে ১লা আগস্ট থেকে আংশিকভাবে বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরুর কথা বলা হয়। তবে আংশিক কারফিউ রয়ে গেছে। এ অবস্থায় গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে। বলা হয়েছে ওই অঞ্চলে করোনাভাইরাস কেন্দ্রীয় কঠোরতা শিথিল করার কারণে জটিল অবস্থায় রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে মরক্কো থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত ২২টি দেশ কভার করে। এর মধ্যে করোনায় এ অঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। এখানে করোনায় মৃত্যুর শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি মারা গেছেন ৫টি দেশে। সেগুলো হলো মিশর, ইরান, ইরাক, পাকিস্তান ও সৌদি আরব।