এবার সেই সাবরিনা বরখাস্ত

করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রোববার বিকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক অফিস আদেশে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়্যারম্যান হয়ে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গ করেছেন ডা. সাবরিনা। সে কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউ্ট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. সাবরিনা জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী। সে কারণে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী নামেই তিনি পরিচিত। হাসপাতালের নাম ফলকে তার নাম ‘ডা. সাবরীনা আরিফ’ লেখা হয়েছে, যদিও সরকারি নথিতে তার নাম সাবরিনা শারমিন হুসাইন। করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে সাবরিনার স্বামী আরিফুল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান ছিলেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর এলেও বিষয়টি এখন তিনি অস্বীকার করছেন। জেকেজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিত। এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ার) সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। জেকেজি হেলথ কেয়ারের নমুনা সংগ্রহের যে অনুমোদন ছিল, তাও ২৪ জুন বাতিল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ঘটনায় সাবরিনার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গত কয়েক দিনে নানা আলোচনার পর রোববার দুপুরে তাকে হাসপাতাল থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে ডেকে নেয় পুলিশ। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তাকে তেজগাঁও থানায় দায়ের করা জেকেজির প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।” এর ঘণ্টাখানেক পর ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে বরখাস্তের অফিস আদেশ জারি করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। এ বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়, “ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়্যারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া এবং অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এ কারণে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। “সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সরকারের অনুমতি ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত থাকা এবং অর্থ আত্মসাত সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেহেতু ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো “