টেস্ট থেকে অবসর নেয়ার কারণ বললেন আমির

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলার পরপরই টেস্টকে বিদায় বলেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। ২৯ বছর বয়সী আমিরের এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ হন তার পূর্বসূরিরা। এমনকি পাকিস্তানের বর্তমান কোচ মিসবাহ উল হকও সমালোচনা করেন এই পেসারের। তবে আমিরের দাবি, ক্যারিয়ারের স্বার্থে অনেকটা বাধ্য হয়েই টেস্ট ছেড়েছেন তিনি। মুশতাক আহমেদের ইউটিউব শোতে টেস্ট ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী আমির। তিনি বলেন, ‘আমি জানি তিন ফরম্যাট, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে গেলে আমার শরীর সায় দেবে না। স্যোশাল মিডিয়ায় লোকজন বলাবলি করছিল আমিরের সুইং হারিয়ে গেছে, গতি কমে গেছে। তাদের বোঝা উচিৎ আমির কোনো মেশিন নয়, মানুষ। তার গতি কমে যাওয়া, সুইং হারিয়ে যাওয়ার পেছনে কারণ আছে। আমি রিদম পাচ্ছিলাম না। ৫ বছর পর ক্রিকেটে ফিরে ২ বছরের মধ্যেই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাক, তা চাইনি।’ টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তটা বিশ্বকাপের সময়ই নিয়েছিলেন আমির। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আমি কাঁধের ইনজুরি নিয়ে খেলেছিলাম। রাতে ও সকালে ৩টি করে পেইন কিলার খেয়ে খেলতে নামি। আমার কাঁধে টেপ দেয়া ছিল। ম্যাচের প্রথম বলটা করার পর এতটাই ব্যথা লেগেছিল যে আমি ভেতরে কেঁদে দিয়েছিলাম। অন্যরা সেটা দেখতে পায়নি। বিশ্বকাপের সময়ই আমি মিকিকে ( পাকিস্তানের সাবেক কোচ মিকি আর্থার) বলি যে টেস্ট থেকে অবসর নেবো। কারণ আমার শরীর ঠিক করতে সময় প্রয়োজন। লংগার ভার্সন ক্রিকেট খেললে শরীর ঠিক করার সে সময়টা পাবো না আমি। আমার বিরতি দারকার।’ গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের হয়ে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন আমির। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেললেও বাংলাদেশের বিপক্ষে বাদ পড়েন তিনি। তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ সামনে রেখে আমিরকে আবার ডেকেছে পাকিস্তান। ইংলিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের পর তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। ওই সিরিজের জন্যই মূলত আমিরকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে দলে।