‘বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে’

কক্সবাজার-টেকনাফ-উখিয়াতে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বিনা বিচারে উখিয়া-টেকনাফে ২৬৪ জন মানুষ খুন হয়েছে। বিনা বিচারে মানুষ হত্যা যেটা স্বাধীন দেশে হয় না। সন্দেহ করে আপনি মানুষ মেরে ফেলবেন। এটা মেনে নেয়া যায় না। রোববার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে এ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মেজর (অব.) সিনহার হত্যাকাণ্ডের বিষয় পত্রিকায় যে রিপোর্টগুলো দেখলাম তাতে দেখা যায়নি, এই অফিসার উদ্ধত হয়েছেন। তিনি অস্ত্র হাতে নিয়ে আসছেন তাও তো না। তাহলে তাকে গুলি করার প্রয়োজন দেখা দিলো কেন? আর পুলিশের নিয়ম আছে গুলি করার প্রাথমিকভাবে আত্মরক্ষার্থে, হাঁটুর নিচে যাতে সে আঘাতে না মরে। বুকে গুলি করার অর্ডার তো পুলিশের থাকে না, নিয়মও নেই। তিনি বলেন, ওসি প্রদীপসহ তার সঙ্গে আরো ৭ জনকে কেন ধরলেন? প্রাথমিকভাবে সন্দেহ পোষণ হয়েছে যে, এটা হত্যাকা-, ইট ওয়াজ নট এক্সিডেন্টাল। না হতে পারে পূর্ব-পরিকল্পিত। তারা আত্মসমপর্ণে গেল কেন? তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করেছে সেজন্য তারা আত্মসমর্পণ করেছে। তারা (পুলিশ) হত্যা মামলার আসামি যদি হয়, আদালত যদি বিশ্বাস করে তারা দায়ী। তাহলে তাদের দায়ের করা আসামি কেন জেলখানায় থাকবে? সেই মামলা কেন প্রত্যাহার হবে না? এটা সোজা হিসাব, এটা কঠিন হিসাব না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান দু’টি আলাদা জিনিস। সরকারের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেন না আপনারা করেছেন রাষ্ট্রের জন্য। এ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, পুলিশের কোথাও লেখা নেই আওয়ামী লীগ পুলিশ বা বিএনপি-পুলিশ, লেখা আছে বাংলাদেশ পুলিশ। ওখানে লেখা আছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সুতরাং দায়িত্বরতরা যদি সচেতন না হন তাহলে মানুষ তো সমালোচনা করবেই। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে শোকসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।