আরও ৩৯ মৃত্যু, সুস্থ দেড় লাখ ছাড়াল

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৩ হাজার ৪৩৮ জন। একই সময়ে আরও ২ হাজার ৯০৭ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এনিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬৭ জন এবং এখন পর্যন্ত এক লাখ ৫০ হাজার ৫০৭ জন সুস্থ হয়েছেন। সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৫টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৪৯টি। এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ ২ হাজার ৭২১ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ৭১৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩১ জন এবং ৮ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর একজন এবং ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে একজন এবং বরিশাল বিভাগে ২ জন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৮১৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৮১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭৭৪ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৫০১ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৫৭ হাজার ৪৮২ জনকে। তিনি আরও জানান, প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৪৬ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৬০৪ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ২ হাজার ২৪২ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭২৪ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২ হাজার ৪৮২ জন