নারী ও শিশু পাচার, সীমান্ত হত্যা-নির্যাতন বন্ধের প্রতি গুরুত্বারোপ

বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এবং কমান্ড্যান্ট, ১৬৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৫২ ব্যাটালিয়নের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার ফুলতলা বটুলী সীমান্তের ব্যাটালিয়নের বিপরীতে ১৬৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের সাথে সীমান্ত পিলার ১৮২৪/৭-এস এর সন্নিকটে শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ইয়াকুবনগর বিএসএফ ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ইয়াকুবনগর কাষ্টম অফিসে অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি বুধবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে। পতাকা বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ্ অধিনায়ক, বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এবং বিএসএফ এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুলদীপ রায় শর্মা, কমান্ড্যান্ট, ১৬৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়॥ এসময় উভয় দেশের স্টাফ অফিসার ও কোম্পানী কমান্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত পতাকা বৈঠকে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে একসারি বিশিষ্ট কাটাতারের বেড়া নির্মাণ, বটুলী আইসিপি’র বিপরীতে বিদ্যমান বেইলী ব্রীজের পরিবর্তে বক্স কালভার্ট এবং সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে উভয় পক্ষের ফলপ্রসু আলোচনার মাধ্যমে কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়াও অবৈধ সীমান্ত পারাপার, নারী ও শিশু পাচার, সীমান্ত হত্যা-নির্যাতন, মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ এবং গবাদিপশু চোরাচালান বন্ধের ব্যাপারে আলোচনা হয়। উক্ত আলোচনা ছাড়াও সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিবিধ বিষয়াদি যেমন, সীমান্তে গুলি বর্ষণ না করা, চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার প্রতিরোধ, নারী-শিশু ও মানব পাচার প্রতিরোধ, অবৈধ সীমান্ত পারাপার বন্ধ করা, নিচ্ছিদ্র সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সমন্বিত টহল ইত্যাদি সম্পর্কে অত্যন্ত ফলপ্রসু আলোচনা হয় বলে জানান ৫২ বিজিবি’র অধিনায়ক। সীমান্তে বিরাজমান শান্তিপূর্ণ সহবস্থান বজায় রাখার ব্যাপারেও উভয় পক্ষ একমত পোষণ করেন। উভয় পক্ষই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তির আলোকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভুত যে কোন সমস্যা ব্যাটালিয়ন, কোম্পানী ও বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে যোগাযোগ, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে একমত পোষণ করেন।