ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না, এদেশে কখন কি ঘটে বলা যায় না

ক্ষমতার দাপট না দেখানোর জন্য দলীয় কর্মীদেরকে সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা দল করেন তারা মনে রাখবেন যে, দলে যদি ঐক্যকে গুরুত্ব না দেন, নিজেদের মধ্যে কলহ-কোন্দল থাকে তাহলে দু:সময়ে প্রতিপক্ষ আঘাত হানবে। এদেশে কখন কি ঘটে বলা যায় না। চিরজীবন আমরা ক্ষমতায় থাকবো এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাবেন না, আমরাও ভাবি না। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। তিনি বলেন, চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না। চোখের পলকে বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট ঘটে গেছে। হঠাৎ করে ২১শে আগস্টের ঘটনা ঘটেছে। দল ক্ষমতায় আছে, এখন যে যেখানে আছেন ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। যখন ক্ষমতায় থাকবেন না, প্রতিপক্ষ প্রতিশোধ নেবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে। জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত না থাকতেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন তাহলে আরেকটি খুনী চক্র জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে পারতো না বলে আমার বিশ্বাস। যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই বুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিভিন্ন হত্যাকা-ের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদেরকে যিনি পুরস্কৃত করেছেন এবং হত্যার বিচার করা হবে না বলে ইনডেমনিটি আইন সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনিতে অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন তাকে বলা হয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তারপর আবার ২১শে আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা। যারা বিচার বর্হিভুত হত্যার কথা বলে তারা যেনো নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে নেয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংকট ও দুর্যোগে দূরদর্শিতার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প তিনি নিজেই। দেশে বিদ্যমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে হারে সংক্রমণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞরা করেছিলেন, সেই হারে সংক্রমণ হয়নি। তারপরও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে শৈথিল্য না দেখিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে জনবল বাড়ানো হয়েছে, জনবল আরও দরকার। আমাদের করোনা সুরক্ষা সামগ্রী আরও দরকার। কিছু কিছু বেসরকারি মেডিকেল হাসপতালে শিক্ষা ও সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেবার ব্রত নিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার স্বাচিপ-এর আহবায়ক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান, সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।