আরও ২৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৪০

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২১ জন ও নারী ৭ জন। তাদের সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৭২ জনে। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৩টি পরীক্ষাগারে ১২ হাজার ৩৮২টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৯০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৪০ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৫৫ হাজার ৪৯৩ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫৭টি। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ১৩৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯২ জন হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ১৮ লাখ ছাড়িয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৭৬ হাজারের ঘরে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে সনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৩টি ল্যাবে ১২ হাজার ৯০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।