অস্ত্র মামলায় সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান আলোচিত সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আরেকটি ধারায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় সাহেদকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। এসময় তাকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে আদালতের গারদ খানায় রাখা হয়। এরপর ১টা ৫৭ মিনিটে তাকে এজলাসে হাজির করা হয়। এরপর দুপুর ২টায় বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। তারপর ২টা আট মিনিটে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। গত ২৭ আগস্ট সাহেদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এরপর ধারাবাহিক সাক্ষ্যগ্রহণ চলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। মামলায় মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। তারপর ১৬ সেপ্টেম্বর আসামি পক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থনে সাহেদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পরের দিন ১৭ আগস্ট আদালতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপনে এ মামলায় সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেন। একই দিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে আসামি পক্ষের আংশিক যুক্তি উপস্থাপন হয়। পরে আদালত পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এদিন আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ১৯ আগস্ট মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াত মামলার অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন। এর আগে ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় গত ২৬ জুলাই তাকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর গত ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে সাহেদের গাড়ি ভেতর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।