কুলাউড়ায় সৎ বাবার সহায়তায় কিশোরীকে ধর্ষণ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বেড়াতে এসে সৎ বাবার সহায়তায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৭ বছরের এক কিশোরী। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ৩ হাজার ১শ টাকার বিনিময়ে কিশোরীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলে দেন সৎ বাবা ইমরান হোসেন। আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) পুলিশ ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত তিন যুবককে আটক করেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে সৎ বাবা ইমরান হোসেনসহ ৪ জনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের কুটাগাঁও গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র কাশেম আলী (২৩), গাজীপুর গাংপাড় এলাকার আসকর আলীর পুত্র আরজান আলী ও গাজীপুরের মাস্টারের দোকান এলাকার ঝন্টু সুত্রধরের পুত্র রাজেশ সুত্রধর পাপ্পু (২১)। এ ঘটনায় সহায়তাকারী কিশোরীর সৎ পিতা ইমরান হোসেন এখনও পলাতক রয়েছেন। মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর পিতা মারা যাওয়ার পর তার মা ইমরান হোসেনকে বিয়ে করেন। পরে ওই ঘরে এক কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। পরবর্তীতে গত ১০ বছর আগে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ইমরান হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করে আগের স্ত্রীর (ভুক্তভোগী কিশোরীর মা) সন্তানদের ফেলে রেখে নিজের মেয়েকে নিয়ে কুলাউড়ায় চলে আসেন। সৎ বোনের (ইমরানের মেয়ের) ঘরে জন্ম নেওয়া ছেলে সন্তানকে দেখতে গত ৭ দিন আগে ছোট ভাইকে নিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে কুলাউড়ায় আসে ওই কিশোরী। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইমরান ওই কিশোরীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসেন। পৌরশহরের স্টেশন রোডস্থ এলাকায় নিয়ে এসে ৩ হাজার ১শ টাকার বিনিময়ে ওই কিশোরীকে কাশেম আলীর হাতে তুলে দেন ইমরান। সেখান থেকে কাশেম এবং তার সহযোগী আরজান ও পাপ্পু মিলে জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া এলাকার বাসিন্দা কাদির মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ঘরের ভেতরে বন্দি করে পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন কাশেম, আরজান ও পাপ্পু। রাতে কিশোরীর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে ধর্ষকদের আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে কুলাউড়া থানার এসআই সনক কান্তি দাশ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যান। এসআই সনক কান্তি দাশ বলেন, ওই কিশোরী বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন এবং মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওছার দস্তগীর বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তিন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।