মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর মৃত্যু

মুক্তিযুদ্ধের সময় কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিসহ ৬০ জনকে হত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাহাবুবুর রহমান কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন।

কাশিমপুর কারাগারে (কয়েদি নম্বর ৪৪১২/এ) বন্দি থাকা মাহাবুব শুক্রবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাহাবুব টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের রাজাকার প্রয়াত মাওলানা ওয়াদুদের ছেলে।

জানা গেছে, মাহবুবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জন সদস্যকে নিয়ে কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা রণদা প্রসাদ সাহার বাসায় অভিযান চালান।

অভিযানে রণদা প্রসাদ সাহা, তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবি, রণদা প্রসাদের ঘনিষ্ঠ সহচর গৌর গোপাল সাহা, রাখাল মতলব, রণদা প্রসাদ সাহার নিরাপত্তারক্ষীসহ সাতজনকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে সবাইকে হত্যা করে মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তাদের মরদেহ আর পাওয়া যায়নি।

এর আগে রাজাকার মাহাবুব তার ভাই মান্নান এবং তার বাবা মাওলানা ওয়াদুদ পাকিস্তানি হানাদারদের সহায়তায় মির্জাপুরে গণহত্যা চালান।

গত ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাহাবুবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। রণদা প্রসাদ সাহা হত্যায় অভিযুক্ত মাহাবুবের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়।

গত বছরের ২৭ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ মাহাবুবকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন।

 

পরে মাহাবুব উচ্চ আদালতে আপিল করেন। তাকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।