ফেনীতে ধর্ষণবিরোধী লংমার্চে হামলা, আহত ৮

দেশব্যাপী ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন ও ‍বিচারহীনতার প্রতিবাদে শাহবাগ থেকে নোয়াখালীর একলাশপুরগামী লংমার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সমাবেশ শেষে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী শহরের কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৮ জন আহত হয়েছেন বলে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগ। এর আগে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে লংমার্চকারীরা সমাবেশ করেন। লংমার্চকারীরা বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও প্রচারাভিযান করে ফেনী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের দিকে লংমার্চ যাওয়ার সময় কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকজন সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। এ সময় লংমার্চকারীদের মধ্যে হৃদয়, শাহাদাত, অনিক, যাওয়াদসহ ৮ জন আহত হন। তাদের অভিযোগ, সমাবেশে সরকার ও ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ায় ক্ষমতাসীনরা ক্ষিপ্ত হয়ে লংমার্চকারীদের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা সরকার দলের লোক। পুলিশ পাহারায় সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ফেনীতে সমাবেশের পরিচালক পংকজ দেবনাথ সূর্য বলেন, এ হামলা ন্যক্কারজনক। আমাদের কর্মীদের হামলা করে দমিয়ে দিতে চায় সন্ত্রাসীরা। তবে ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার পর লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের নোয়াখালী পাঠানো হয়েছে। এর আগে শহরের শহীদ মিনারের পাশে দোয়েল চত্বরে সমাবেশ চলাকালে স্থানীয় সংসদের ছবির উপর লাল রং লাগিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য লেখাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে লংমার্চকারীদের বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় ফেনী সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান ও ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। লংমার্চকারীদের নেতৃস্থানীয়রা বলেন, সমাবেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে বহিরাগত কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছে।