বড়লেখায় ইউপি সদস্য বদরুল আহমেদ সাময়িক বরখাস্ত

বড়লেখায় ইউপি সদস্য বদরুল আহমেদ সাময়িক বরখাস্ত মৌলভীবাজারের বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বদরুল আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বয়স্ক, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়া ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান এবং অসদাচরণের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সই করা গত বৃহস্পতিবারের (১৫ অক্টোবর) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বয়স্ক, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়া ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান এবং অসদাচরণের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয়। বদরুল আহমদ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ –এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। একই তারিখে পৃথক আরেকটি কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাকে চূড়ান্তভাবে ইউপি সদস্য পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে দিতে অনুরোধ করা হয়। বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান ইউপি সদস্য বদরুল আহমেদকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ইউপি সদস্য নোটিশ গ্রহণ করেছেন। কেন তাকে চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে দাখিল করতে বলা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বদরুল আহমেদের বিরুদ্ধে সমাজকর্মীকে লাঞ্ছিত করে ২০২ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীর ভাতার বই ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এময় সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সাথেও ওই ইউপি সদস্য অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ ঘটনায় সমাজসেবা কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে সুপারিশ করেন জেলা প্রশাসক।