রায়হান হত্যাকাণ্ড : কনস্টেবল টিটু ফের রিমান্ডে

সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে আবারও ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ রোববার (২৫ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে টিটু চন্দ্র দাসকে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জিয়াদুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ডই মঞ্জুর করেন। মুহিদুল ইসলাম সিলেটভিউ-কে জানান, টিটু চন্দ্র জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আজ তাকে আদালতে হাজির করে আরও ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালতের বিচারক এই তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, গত ২০ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ লাইন্স কোয়ার্টার গার্ড থেকে টিটুকে গ্রেফতার করে পিবিআই। ওই দিনই বিকেল ৩টার দিকে টিটু চন্দ্র দাসকে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচারক জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করে পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর রাতে নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪)। সেদিন সকালেই তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় পরদিন ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায়। কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাশকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। এই ঘটনায় ১৯ অক্টোবর সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতে বিচারক মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে ওই ফাঁড়িতে কর্মরত কনস্টেবল দেলোয়ার, সাইদুর ও শামীম ১৬৪ ধারায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।