মেসিকে বেতন দেয়ার সামর্থ্য নেই বার্সেলোনার!

ঋণের বোঝায় পিষ্ট বার্সেলোনা। করোনাকালে স্টেডিয়ামে দর্শকপ্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় দেউলিয়া হওয়ার পথে কাতালান ক্লাবটি। মেসি সহ শীর্ষ খেলোয়াড়দের বেতন কম নেয়ার আহবান এরই মধ্যে জানিয়েছে বার্সা। যদিও বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার চুক্তি রয়েছে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। চুক্তির মেয়াদ মেসি বাড়াবেন কি না সেটা নিশ্চিত নয়। এরই মধ্যে বার্সেলোনার সভাপতি পদপ্রার্থী টনি ফ্রেইজা জানালেন, মেসিকে বেতন দেয়ার সামর্থ্য হারানোর কাছাকাছি রয়েছে বার্সেলোনা। আর্জেন্টাইন মহাতারকা বেতন না কমালে মেসির সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন না ফ্রেইজা। ৭০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ রয়েছে বার্সেলোনার। বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে গত মাসে সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। আগামী বছরের শুরুতে হতে যাওয়া নির্বাচনে জানা যাবে নতুন সভাপতির নাম। মেসিকে ধরে রাখতে আগ্রহী হলেও অর্থ সঙ্কটে থাকা বার্সেলোনা চাইছে সমঝোতা করতে। সভাপতি পদপ্রার্থী টনি ফ্রেইজা বলেন, ‘মেসির সঙ্গে সামনাসামনি বসে আমরা আলোচনা করবো। ক্লাবের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আমরা সবকিছু করবো। মেসি সহ অন্য খেলোয়াড়দের চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের নীতি স্পষ্ট। এতদিন পাওয়া বেতনের সঙ্গে নতুন চুক্তির কোনো মিল থাকবে না। মেসির মন জয় করা কিংবা তাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে রাজী করানোর দরকার নেই। তার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে এবং জানতে হবে দুই পক্ষ কী চায়। সে কী চায় এবং বার্সেলোনা কী চায়। আমরা মনে করি, ফুটবলকে মেসির আরও অনেক কিছু দেওয়ার বাকি।’ গত আগস্টে বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েও পারেননি মেসি। চুক্তির মারপ্যাঁচে আটকে গেছেন রেকর্ড ছয়বারের ফিফা বর্ষসেরা তারকা। মেসিকে বেতন হিসেবে বার্ষিক ১২৬ মিলিয়ন ডলার দেয় বার্সেলোনা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রামিক পাওয়া ফুটবলারও ৩৩ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ক্লাব ছাড়তে চাওয়ায় মেসিকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী ছিল ম্যানচেস্টার সিটি, পিএসজির মতো ক্লাব। বেতন-ভাতা নিয়ে বনিবনা না হলে আগামী মৌসুমে হয়তো নতুন কোনো ক্লাবে ঠিকানা গড়তে চলেছেন মেসি। বার্সেলোনার পাশে মেসিরা দাঁড়াননি তা নয়। করোনা মহামারি শুরুর সময় ৭০ শতাংশ বেতন কমিয়েছিলেন মেসি-পিকে-আলবারা।