পর্তুগালে জরুরি অবস্থা জারি

করোনার মহামারীতে বিপর্যস্ত গোটা ইউরোপ । প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইউরোপকে করোনার ইপিকসেন্টার হিসাবে ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে । ইউরোপে শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে করোনার সংক্রমণ মারাত্মক আঁকার ধারণ করেছে । এই থেকে ব্যাতিক্রম নয় পর্তুগাল। ইতোমধ্যেই সেখানে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে । উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সেই দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য পার্লামেন্টকে অনুরোধ জানান পর্তুগীজ প্রেসিডেন্ট মার্সেলো সোসা । গত শুক্রবার পার্লামেন্ট সেটার অনুমোদন দেয় । ৯ নভেম্বরে থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত পর্তুগালে জারি থাকবে জরুরি অবস্থা । এই দুই সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে জরুরি অবস্থা আরো বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্সোলো সোসা । এদিকে প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিয়া কোস্টা শনিবার মন্ত্রীদের নিয়ে এক দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, এবারের জরুরি অবস্থায় জনগণকে ঘরে বন্দি থাকতে হবেনা । তারা তাদের স্বাভাবিক কাজ কর্ম চালিয়ে যেতে পারবেন । তবে আগে থেকেই জারিকৃত আংশিক লকডাউন ১২১ টি মিউনিসিপ্যালে এখন থেকে জরুরি অবস্থার অধীনে, সপ্তাহের প্রতি সোমবার থেকে শুক্রবার রাত ১১ টা ভোর ৫ টা এবং শনি এবং রোববারে দুপুর ১টা থেকে পরদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ চলা অবস্থায় পাবলিক রাস্তায় গাড়ী চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে, তবে যারা কাজে যাবেন কিংবা কাজ থেকে ফিরবেন অথবা জরুরি প্রয়োজন ফার্মাসি, হাসপাতালে যাবেন তারা এর আওতামুক্ত থাকবেন । এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেহেতু রেস্টুরেন্ট রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে সেহেতু সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আরোপিত কারফিউর মধ্যে খাবারের ডেলিভারি চালু থাকবে। রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশন করা যাবে না । উল্লেখ্য পর্তুগালের যে সব মিউনিসিপ্যালে প্রতি লাখে ২৪০জন করোনা সংক্রমিত হচ্ছে সে সব মিউনিপ্যালের সংখ্যা প্রায় ১২১টি । সে কারণেই সেই সব এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে ।