এখনও লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার

কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারের যেন লাগাম টানাই যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে বাজারে শীতের সবজির দেখা মিললেও বাজারমূল্য চলছে সেই আগের মতোই। মাস দুয়েক আগের সেই অস্বাভাবিক বর্ধিত মূল্য এখনও বহাল রয়েছে। গত দুই মাস আগে পেঁয়াজের দাম যে বেড়েছে তার লাগাম টানা যায়নি। সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসেনি। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের এখনও ৯৫ টাকা কেজি। এই দাম বাড়ার আগে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। প্রায়ই একই সময়ে বাড়ে চালের দামও। সেটাও কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি মিলারদের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরও চালের দাম কমেনি। বরং সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এখন প্রতি কেজি নাজিরশাল বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬৭ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৬৪ টাকা কেজি। বিআর-২৮ বিক্রি সর্বোচ্চ ৫৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৫৪ টাকা কেজি। এছাড়া মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল কেজি ৪৩-৪৪ টাকা। রাজধানীর বাজারে ইতিমধ্যে শীতের সবজি সরবরাহ শুরু হয়েছে। কিন্তু দামে লাগাম আসেনি। ছোট ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। আর শিমের কেজি সেই আগের দামেই চলছে। কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। রাজধানীর বিভিন্ন সবজি বাজার পর্যালোচলা করে দেখা গেছে, নতুন আলু কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বেগুন, গাজর, মুলা ও বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢেঁড়স ও পটোলের দামও কম নয়, কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতি আড়াইশ’ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও রাজধানীর খুচরা বাজারে একাধিক সবজি কেজিতে ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এসব নিত্যপণ্য ক্রয়ে ভোক্তার নাভিশ্বাস বাড়ছে। অস্থিরতা রয়েছে ময়দার বাজারেও। সপ্তাহের ব্যবধানে ময়দার দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে। ভোজ্যতেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল দুই মাসের ব্যবধানে প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ১০ টাকা বেড়েছে। তাছাড়া ডাল, দারুচিনি, ধনেপাতা ও তেজপাতা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এসব খাদ্যপণ্য কিনতে চরম হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা।