রিমান্ড শেষে কারাগারে সেই চালক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি শহীদ মিয়াকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে শহীদ মিয়ার আমলগ্রহণকারী আদালত দিরাই জোনের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূর-এর আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আশেক সুজা মামুন জানান, বাসচালক শহীদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শহীদ মিয়া সিলেট মহানগরীর জালালবাদ থানার মোগলগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের তৌফিক মিয়ার ছেলে। ২ জানুয়ারি শনিবার ভোরে সিআইডি পুলিশ সুনামগঞ্জের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে তাকে আটক করে। পরদিন রোববার সিআইডির হেডকোয়ার্টারে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে শহীদ মিয়াকে দিরাই থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে সিআইডি। এ ঘটনায় এর আগে ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে হেলপার রশিদ আহমদকে ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে গ্রেফতার করে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হেলপার রশিদও ২৯ ডিসেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। উল্লেখ্য,২৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে সিলেট সদরের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী বাসে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় চালক ও হেলপার কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ বাসটি জব্দ করে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।