কমলগঞ্জে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী যুবলীগ থেকে বহিষ্কার

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ায় মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সংগঠনের শৃঙ্খলা লঙ্ঘিত ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে, যা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। গঠনতন্ত্রের ২২ (ক) ধারা মোতাবেক যুবলীগের চেয়ারম্যানের নির্দেশে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো। এ বিষয়ে মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমি এখনও লিখিত পাইনি। শুনেছি আমাকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের সাংগঠনিক ধারা অনুযায়ী অব্যাহতি দিতেই পারে। তবে আমি আশাবাদী দল আমাকে আবার মূল্যায়ন করবে। আমি স্কুলজীবন থেকে মুজিব আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বপালন করেছি। পরে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছিলাম। বিগত জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করেছি। দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারী হিসেবে বিগত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আশ্বাস দিয়েছিলেন এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেবেন। দৃঢ় বিশ্বাস থাকা স্বত্ত্বেও দুঃখের বিষয় এবারও ষড়যন্ত্র ও রহস্যজনক কারণে আমাকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ও এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের চাপে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছি। উল্লেখ্য, গত বুধবার আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হেলাল মিয়াকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।