সিলেট নগরীতে কফিন কাঁধে বিক্ষোভ

নগরীতে বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় পরপর তিন দিনে তিনটি মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ সিলেটবাসী। সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাতে নিহত সজিব ও লুৎফুরের জানাজার নামাজ শেষে মঙ্গলবার বাদ আছর হ্যাল্পিং হ্যান্ডস সিলেট'র ব্যানারে নগরীতে কফিন কাঁধে মিছিল করেছেন ক্ষুব্ধ জনতা। হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু করে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে হ্যাল্পিং হ্যান্ডস সিলেট'র সভাপতি আবু সালেহ মো. তাহেরের সভাপতিত্বে ও সালেক আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা মানুষ হয়ে জন্মেছি ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করার জন্য নয়। অনতিবিলম্বে নগরীতে ভারী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। এই বেপরোয়া ট্রাকের কারণে একের পর এক তাজা প্রাণ অকালে ঝরছে। দুর্ঘটনারোধে প্রয়োজনে বাইপাস সড়ক ব্যবহারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, নগরীতে আর যেন ট্রাকের কারণে কারো লাশ না পড়ে। তা না হলে সিলেটের জনগণকে সাথে নিয়ে ট্রাক চলাচল প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হবো। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, উজ্জ্বল রঞ্জন চন্দ্র, আব্দুস সালাম টিপু, এবি মজুমদার রনি, আলী আহসান হাবীব, আজিজ খান সজিব, রাসেল আহমদ খান, ছদরুল ইসলাম লোকমান, গোলাম রাব্বানী, ফারুক আহমেদ, আজহার আলী অনিক, আবুল বাশার, মেহরাজ ভুঁইয়া পলাশ, মাহবুবুল আলম সৌরভ, রনি পাল, বাইন উদ্দিন, কাওসার চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, ইবনে জাহান তানভির, কামরান উদ্দিন অপু, মোহাম্মদ রিপন, আতিকুর রহমান অমি, সৈয়দ মিনহাজ, মোস্তাক আহমদ, আশিকুর রহমান তারেক, মোতালিব পাশা, ফারুক আহমেদ(২), গুলশান আহমেদ, মেজ আহমেদ, জাহেদ আহমদ, রাব্বি ইসলাম ও নয়ন মিয়া প্রমুখ।