ছাবির নাকি রাহেল-কে হচ্ছেন নবীগঞ্জের পৌর মেয়র?

ভোটের জন্য প্রস্তুত নবীগঞ্জ পৌরসভা।রাত পোহালেই হবিগঞ্জের শিল্পনগরী খ্যাত এ গ্রামীণ শহর মেতে উঠবে ভোট উৎসবে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দেবশ্রী দাশ পার্লি। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনরে পক্ষ থকে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও বিজিপি, র‍্যাব ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত স্টাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম সমন্বয় করবেন। হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদিকুল ইসলাম জানান, নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নবীগঞ্জ পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৯৯ জন। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৩ জন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ১২ জন এবং কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯৯৭ সালে পৌরসভা ঘোষিত হওয়ার পর তিন মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে টানা ১৫ বছর পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন পর টানা ৩ বারের বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে গত পৌর নির্বাচনে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছাবির আহমেদ চৌধুরী। এবারও বিএনপির এ প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। অপর দুই মেয়রপ্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল (নৌকা প্রতীক) স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুল আলম সুমন। নবীগঞ্জ পৌরসভায় ওর্য়াড সংখ্যা ৯টি, ভোটকেন্দ্র ১০টি ও ভোটগ্রহণ কক্ষ ৪৮টি। প্রতিটি কক্ষে দুটি করে ব্যালট বাক্স থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং অফিসার, প্রতি কক্ষে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুজন পোলিং অফিসার নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কাজে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন করে আনসার সদস্য ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবে। এদিকে ইতোমধ্যে বিএনপির প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরী ও সতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুল আলম সুমন পৌরসভা নির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিযোগ করেছেন। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল কোনো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানান। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, প্রার্থী ও ভোটার এবং পুরো নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে বলেন আমাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নবীগঞ্জ পৌর এলাকার কোন ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র নেই। এছাড়াও প্রয়োজনে মোবাইল টিম মাঠে কাজ করবে। নবীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন, নির্বাচন সঠিকভাবে পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।কোনো প্রার্থীর অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে অভিযোগ করতে পারেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যানবাহন ও রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদিত যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গণপরিবহন নবীগঞ্জ পৌরসভার সীমানার ভেতর চলাচল করতে পারবে না।