বন্দর-চৌহাট্টা সড়কে রিকশা, ভ্যান চালুর দাবি শ্রমিক ফ্রন্টের

সিলেট নগরের চৌহাট্টা থেকে বন্দরবাজার পর্যন্ত সড়কে রিকশা, ভ্যান চালুর দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারি) সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট প্রতিষ্টাবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট জেলা শাখা আয়োজিত লাল পতাকা মিছিল ও সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরের আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌহাট্টায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়। শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু জাফরের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রণব জ্যোতি পালের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বাসদ নেতা জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, টমটম-ব্যাটরি রিকশা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম পরিষদ এর আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুছ, হামিদ মিয়া,নির্মাণ শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা মামুন বেপারি, চা শ্রমিক ফেডারেশনের রত্না বসাক,সন্দীপ নায়েক, রিকশা শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা বরকত মিয়া, আনোয়ারুল,সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মহানগর শাখার আহ্বায়ক সনজয় শর্মা প্রমুখ। সমাবেশে বক্তরা সিলেট সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, ‘বিকল্প কর্মসংস্থান না করে রিকশা, টমটম, ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত অমানবিক।’ তারা অবিলম্বের এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র কর্তৃক গত ১ জানুয়ারী থেকে সড়কের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে কিছু সংখ্যকের মোটরযান নির্বিঘ্নে চলাচলের স্বার্থে বন্দর-চৌহাট্টা সড়কে রিক্সা, ভ্যান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত জনস্বার্থ পরিপন্থী ‘ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে রাষ্ট্রীয় পাটকল-চিনিকল-এর মৃত্যু ঘন্টা বাজানো হলো, অন্যদিকে করোনায় সবচেয়ে বেশি আঘাত হানছে কর্মসংস্থানক্ষেত্রগুলোতে। দেশের মোট শ্রম শক্তি জরিপ অনুযায়ী কর্মক্ষম শ্রমশক্তি ছয় কোটি ৩৫ লাখের মধ্যে কর্মে নিয়োজিত ছয় কোটি ৮ লাখ অর্থাৎ বেকার ২৭ লাখ মানুষ।’ করোনাকালীন সময়ে শ্রমিক ছাটাই, শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী নানা পদক্ষেপের কারণে বেকার মানুষের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে বলে তারা অভিযাগ করেন। বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে চা শ্রমিকদের ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। বক্তারা অবিলম্ব মজুরি বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে গোপন সমঝোতার চুক্তি বাতিল করে নগদ মজুরি ৫০০ টাকা ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’