বাংলাদেশের কর্নেল জানালেন, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়াটা গর্বের

মঙ্গলবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে ইতিহাস গড়তে চলেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ তে ফ্রান্স, ২০১৭ তে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর বাংলাদেশই তৃতীয় রাষ্ট্র যারা ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে। কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ বাহিনীর নেতা কর্নেল মোহোকাশিম হায়দার চৌধুরী বলেন, বন্ধু রাষ্ট্রের প্রজাতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজ করাটা গর্বের ব্যাপার। বাংলাদেশ বাহিনীটি দিল্লির একটি হোটেলে থেকে নিয়মিত মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। হায়দার চৌধুরী জানান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে গঠিত বাংলাদেশের তিনটি সেনা ইউনিট এর সদস্যরা এই কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন। স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনী থাকবে এই মার্চপাস্টে। তিন বাহিনীকে নেতৃত্ব দেবেন নৌ বাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, বিমানবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং পদাতিক বাহিনীর এক মেজর। হায়দার চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে ভারতের এই সম্মান প্রদান অর্থবহ। ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর একশো বাইশ জনের দলটি দিল্লি পৌছায়। বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইন এ থাকার পর দলটি নিয়মিত প্রাকটিস করেছে। দলটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা দিল্লির লেফটেন্যান্ট জেনারেল আলোক খাকরেল বলেছেন এটি তাঁর কাছে একটি আবেগঘন মুহূর্ত। কারণ, পঞ্চাশ বছর আগে তাঁর বাবা জেনারেল পি এন খাকরেল বাংলাদেশের মধুমতী নদী পেরিয়ে পাকিস্তান বাহিনীকে পরাস্ত করেছিলেন। ২৬ বছর বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে কাজ করা হায়দার চৌধুরী বলেন, এই ভাবেই দু'দেশের সামরিক বাহিনী একে অপরের পাশে থেকেছে বরাবর।